অনলাইন ডেস্ক:
দেশে গত ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কোভিড-১৯এর সংক্রমণে ৫২ শিশু আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৬ শিশুর। শুক্রবার (১ মে) বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই তথ্য সংগ্রহ করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনের পরিচালক আবদুছ সহিদ মাহমুদ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে কোভিড-১৯এর সংক্রমণ বিস্তার শুরুর পর থেকে বিএসএএফ শিশুদের এই ভাইরাসে আক্রান্তের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা শুরু করে। সেই মোতাবেক গত ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট ৫২ জন শিশু এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ওই সময়ের মধ্যে ২৭ জন শিশু করোনা ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে মারা গিয়েছে কিন্তু মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করা হয় নি। অর্থাৎ, মোট ৩৩ জন শিশু মারা গিয়েছে যাদের মধ্যে ৬ জন রিপোর্টেড করোনা ভাইরাস রোগী ছিলেন এবং অবশিস্ট ২৭ জন ছিলেন এই রোগের লক্ষণ নিয়ে মারা যাওয়া রোগী। এদিকে ২৪ জন শিশুর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে কিন্তু এর ফল প্রকাশিত হয় নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ পর্যালোচনায় লক্ষ্যণীয় যে, ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল সময়ের মধ্যে সর্বমোট ৮৩ জন শিশু করোণাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে অথবা আক্রান্তের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে। সবচেয়ে কম বয়স্ক ৪ মাসের শিশু এবং সর্বোচ্চ ১৭ বছর উর্ধ্ব শিশুর দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।
আবদুছ সহিদ মাহমুদ বলেন, আইইডিসিআর প্রতিদিন পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতীকে হালনাগাদ পরিস্থিতি অবহিত করে, যা নিসন্দেহে প্রশংসনীয়। আইইডিসিআর তাদের প্রতিদিনকার আপডেটে বয়সের যে শ্রেণিবিভাগ করে তাতে শিশুদের (১ থেকে ১৮ বৎসর পর্যন্ত) অবস্থা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়না। তাই করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ শিশুদের নিয়ে এ সময় কিংবা পরে যারা পুনর্বাসনের কাজ করবে তারা বিপাকে পড়বে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, শিশুর সংখ্যা কম বলেই আলাদা করা হচ্ছে না। প্রয়োজনে করা হবে।
আইইডিসিআর বিভিন্ন বয়সকে কয়েকটি বয়সগ্রুপে ভাগ করে তাদের প্রতিদিনের আপডেট দিয়ে থাকে। তারমধ্যে একটি ১০ বছর পর্যন্ত আরেকটি ১০ থেকে ২০ বছর। এই ১০ থেকে ২০ বছর বয়স গ্রুপের মধ্যে শিশু যেমন রয়েছে আবার প্রাপ্তবয়স্ক বা তরুণরাও রয়েছে। যার ফলে প্রকৃতপক্ষে কত সংক্ষক শিশু আক্রান্ত হয়েছে তার প্রকৃত সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। তবে বাংলাদেশে যে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শিশুদের নিয়ে কাজ করছে তাদের জন্য এই রকম একটি পরিসংখ্যান খুবই জরুরি। এর ফলে শিশুদের উপর করোনা ভাইরাসের বিভিন্নমূখী প্রভাব এবং আক্রান্তের মাত্রা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ শিশু সুরক্ষায় কাজ করতে পারবে। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ (সিআরসি), শিশু নীতি ২০১১ এবং শিশু আইন ২০১৩ তে শিশুর বয়স ১৮ পর্যন্ত বলা আছে আর শিশুর স্বার্থ সবার আগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শিশুর স্বার্থে শিশু আক্রান্ত বয়সের তালিকা প্রকাশ করতে পারে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ, ঢাকা অফিস : ২০৫/৩ ফকিরাপুল, ঢাকা। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত : নতুনেরকথা
Copyright © 2024 Notuner Kotha. All rights reserved.