অচিরেই আমরা সম্মিলিতভাবে এই কালো অধ্যায় অতিক্রম করতে সক্ষম হব

  • আপডেট: ০২:০৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
  • ২৬

মহামারী করোনাভাইরাসের মতো ভবিষ্যৎ যে কোনো বিপর্যয় মোকাবেলায় বৈশ্বিক সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি অচিরেই সম্মিলিত প্রয়াসে করোনাভাইরাসের মতো কালো অধ্যায় অতিক্রম করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি ভবিষ্যতের যে কোনো বিশ্ব বিপর্যয় কার্যকরভাবে মোকাবেলায় ‘আরও বেশি নীতি ও আর্থিক গুরুত্ব প্রদানের’ জন্য সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতের যে কোনো বিশ্ব বিপর্যয় কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সবার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের মতো স্বাস্থ্য বিষয়গুলোতে আরও নীতি ও আর্থিক গুরুত্ব দিতে বিশ্বব্যাপী সমন্বয়ের আহ্বান হিসেবে সবাইকে আমি এই সংকটকে সতর্কতা হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানাব।

প্রধানমন্ত্রী চিঠিতে লেখেন– আমরা বহুপাক্ষিকতায় দঢ়ভাবে বিশ্বাসী। যেহেতু সংক্রামক রোগ এবং মহামারীটি কোনো সীমানাকে বাদ দেয় না। তাই আমরা কোভিড ১৯-এর বিস্তার রোধ করতে এবং সার্বিকভাবে জাতিসংঘের মাধ্যমে এবং বিশ্বব্যাপী ডব্লিউএইচওর মাধ্যমে আঞ্চলিকভাবে সংযুক্ত হয়েছি। কেননা সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটি একটি অভূতপূর্ব সংকট।

এ সময়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা দেয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন– ‘আমরা আশা করি যে, এই মহাবিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে ডব্লিউএইচও এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের পাশে থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী এই আপদকালে নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং নেতৃত্বের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি– অচিরেই আমরা সম্মিলিতভাবে এই কালো অধ্যায় অতিক্রম করতে সক্ষম হব।’

প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের ২৩ মার্চের তার লেখা বিশদ চিঠির জন্য স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান, যা কোভিড ১৯-এর মতো মারাত্মক মহামারীর বিশ্ব ঝুঁকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর এবং সম্ভাব্য পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে গৃহীত হয়েছিল।

শেখ হাসিনা এ সময় সমগ্র বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তার অব্যাহত ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ এবং নেতৃত্বের জন্যও তাকে ধন্যবাদ জানান।

প্রাণঘাতী ভাইরাস প্রতিরোধে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী চিঠিতে লেখেন– এসব প্রচেষ্টা এখন করোনা পরীক্ষা, আইসোলেসনে ও কোয়ারেন্টিনে রাখার ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, চীনে করানা প্রাদুর্ভাবের পর পরই সরকার এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে এবং জাতীয় জরুরি পরিকল্পনা হিসেবে ‘কোভিড-১৯ সংক্রান্ত একটি জাতীয় প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদান পরিকল্পনা’ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী লেখেন– ‘কোভিড-১৯ নির্মূল করাই হবে আমাদের জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের সময় আমাদের জনগণ ও সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য সেরা উপহার।’

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে সিমস্ প্রকল্প বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

অচিরেই আমরা সম্মিলিতভাবে এই কালো অধ্যায় অতিক্রম করতে সক্ষম হব

আপডেট: ০২:০৮:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০

মহামারী করোনাভাইরাসের মতো ভবিষ্যৎ যে কোনো বিপর্যয় মোকাবেলায় বৈশ্বিক সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি অচিরেই সম্মিলিত প্রয়াসে করোনাভাইরাসের মতো কালো অধ্যায় অতিক্রম করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি ভবিষ্যতের যে কোনো বিশ্ব বিপর্যয় কার্যকরভাবে মোকাবেলায় ‘আরও বেশি নীতি ও আর্থিক গুরুত্ব প্রদানের’ জন্য সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতের যে কোনো বিশ্ব বিপর্যয় কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সবার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের মতো স্বাস্থ্য বিষয়গুলোতে আরও নীতি ও আর্থিক গুরুত্ব দিতে বিশ্বব্যাপী সমন্বয়ের আহ্বান হিসেবে সবাইকে আমি এই সংকটকে সতর্কতা হিসেবে বিবেচনার আহ্বান জানাব।

প্রধানমন্ত্রী চিঠিতে লেখেন– আমরা বহুপাক্ষিকতায় দঢ়ভাবে বিশ্বাসী। যেহেতু সংক্রামক রোগ এবং মহামারীটি কোনো সীমানাকে বাদ দেয় না। তাই আমরা কোভিড ১৯-এর বিস্তার রোধ করতে এবং সার্বিকভাবে জাতিসংঘের মাধ্যমে এবং বিশ্বব্যাপী ডব্লিউএইচওর মাধ্যমে আঞ্চলিকভাবে সংযুক্ত হয়েছি। কেননা সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটি একটি অভূতপূর্ব সংকট।

এ সময়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা দেয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন– ‘আমরা আশা করি যে, এই মহাবিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে ডব্লিউএইচও এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের পাশে থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী এই আপদকালে নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং নেতৃত্বের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি– অচিরেই আমরা সম্মিলিতভাবে এই কালো অধ্যায় অতিক্রম করতে সক্ষম হব।’

প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের ২৩ মার্চের তার লেখা বিশদ চিঠির জন্য স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান, যা কোভিড ১৯-এর মতো মারাত্মক মহামারীর বিশ্ব ঝুঁকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর এবং সম্ভাব্য পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে গৃহীত হয়েছিল।

শেখ হাসিনা এ সময় সমগ্র বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তার অব্যাহত ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ এবং নেতৃত্বের জন্যও তাকে ধন্যবাদ জানান।

প্রাণঘাতী ভাইরাস প্রতিরোধে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী চিঠিতে লেখেন– এসব প্রচেষ্টা এখন করোনা পরীক্ষা, আইসোলেসনে ও কোয়ারেন্টিনে রাখার ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, চীনে করানা প্রাদুর্ভাবের পর পরই সরকার এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে এবং জাতীয় জরুরি পরিকল্পনা হিসেবে ‘কোভিড-১৯ সংক্রান্ত একটি জাতীয় প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদান পরিকল্পনা’ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী লেখেন– ‘কোভিড-১৯ নির্মূল করাই হবে আমাদের জাতির পিতার জন্মশতবর্ষের সময় আমাদের জনগণ ও সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য সেরা উপহার।’