বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করতে জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে ১০ জনের জল্লাদের একটি দল তৈরি করেছে ঢাকা জেল কর্তৃপক্ষ। এরিমধ্যে আজ সন্ধ্যায় কারাগারে আবদুল মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগম, স্ত্রীর বোন ও বোন জামাই, ভাতিজা ও একজন চাচাশ্বশুর সহ মোট ৫ জন দেখা করেন। আজ শুক্রবার রাতে কারা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।কারা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা জেলে পরিবারের সদস্যরা ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) তার প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেয়ায় ফাঁসির আদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা রইলো না বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, খুনি মাজেদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই, আমরা যে কোনো সময় কার্যকর করতে পারব।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সোমবার (৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।বুধবার (৮ এপ্রিল) মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আব্দুল মাজেদ। পরে প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, কারাগারের ভেতরে ফাঁসির মঞ্চ সব সময় প্রস্তুত থাকে। তবে পুরান ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জে কারাগার হস্তান্তরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই ফাঁসির মঞ্চে কোনো ফাঁসি কার্যকর হয়নি।