Notuner Kotha

করোনা সংকট নিরসনে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে মেজর রফিকের ভিডিও বার্তা (ভিডিওসহ)

শাহানা আকতার॥

চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদসস্য, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলাবাসিকে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন, ভিডিও বার্তাটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

আস্সালামু আলাইকুম, আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ করোনা ভাইরাসে সারা বিশে^র মানুষ বড় এক সংকটে পড়েছে। আমাদের দেশেও এ রোগের অস্তিত্ব রয়েছে। তাই আমাদের সর্তক হতে হবে এবং কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার কাইটেরিয়া অনুস্বরণ করে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে তথ্যাবলি প্রচার করছে। আমাদের এলাকাতে সেই সব তথ্যাবলি লিফলেট আকারে দেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসের (মার্চ) ১৫-১৬-১৭ তারিখে আমি নিজেই উপস্থিত থেকে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচিত অন্যান্য পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করেছি। হাসপাতালের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঢাকা থেকে পাঠিয়েছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে অন্যান্য চিকিৎসা দ্রব্য সামগ্রী সংগ্রহের পদক্ষেপ নিয়েছি। এখন যেহেতু সকল অফিস আদালত ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তাই জরুরী প্রয়োজন না হলে কেউ অনুগ্রহ বাড়ির বাহিরে যাবেন না। বিশেষ করে যাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তারা অবশ্যই তা মানতে হবে।

এলাকার জনগণ এদিকে নজর দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সবাইকে আহবান জানাচ্ছি।

আমাদের এলাকায় কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোলরুমের ফোন নাম্বার প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যাগন আপনাদের জানিয়ে দিবেন। কোন সমস্যা হলে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করবেন এবং প্রয়োজন হলে আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন।

আরো পড়ুন: মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম’র উদ্যোগেকরোনা থেকে ‍সুরক্ষার্থে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিপিআই, চশমা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান

উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিবৃন্দ আপনাদের জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এই করোনা সংকট থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ইনশাল্লাহ আমরা মুক্তি পাবো।

আমি আরেক বার বলছি, এই করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশাবলি মেনে নিতে হবে। এখানে নির্দেশাবলির কয়েকটি বলছি, যেখানে সেখানে কফ ফেলবে না, হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু অথবা কাপড় দিয়ে অথবা বাহুর ভাঁজে নাক মুখ ডেকে রাখতে হবে এবং ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনা যুক্ত টিস্যু পাত্রে ফেলতে হবে। পরে তা জ¦ালিতে ফেলাটাই উত্তম হবে।
একজন থেকে আরেক জনের দুরুত্ব কমপক্ষে ৩ফিট থাকবে হবে। অথ্যাৎ জন-সমাবেশ নিষিদ্ধ। আর ঘন ঘন দুই হাত সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে গরুত্বপূর্ণ বার বার কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধুয়ে নিবেন।

বিসমিল্লাহির রাহমানির বলে শুরু করবেন হাত ধোয়া। খুব ধীরস্তে সূরা ফাতেহা এবং সূরা ইখলাস মনে মনে পড়ে ২০ সেকেন্ড হাত ধোঁয়ার কাজ শেষ করতে হবে।

এটা একান্ত আপনাদের স্বার্থে এবং আপনাদের পরিবার স্বার্থে। জীবানুগুলো হাতের মধ্য দিয়ে মুখে, নাকে, চোখে চলে যায়। কাজেই এ বিষয়টি আমি আবারো জোর দিয়ে বলছি, নিজে এবং অন্যদের বিশেষ করে সর্তক করতে হবে।

শিশুদের হাত ধোয়া বিষয় এবং অন্যান্য বিষয়গুলোতে সচেতন করতে হবে।

আশা করছি আমরা সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের এলাকাকে অনেকটাই রোগমুক্ত রাখতে সক্ষম হবো। এবং এটা যেন ব্যাপক আকারে সংক্রমিত না হয়, এতে আমাদের সফলতা আসবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের এ সংকট থেকে রক্ষা করুন আমিন।