অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের উৎস চীনের বাইরে হঠাৎই বেড়ে গেছে সংক্রমণের হার। এতদিন শুধু চীনে গুরুতর হলেও এবার এর বাইরেও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এটি। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আর ভাইরাসের উৎসস্থলের বাইরে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে। মঙ্গলবার চীনে নতুন করে আরও ৪০৬ জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশটিতে এদিন প্রাণ গেছে অন্তত ৫২ জনের।
বুধবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল হুবেই প্রদেশেই রয়েছেন ৪০১ জন। নতুন মৃত্যুর ঘটনাও সবগুলোই এ প্রদেশে।
চীনে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৭১৫ জন, আক্রান্ত হযেছেন ৭৮ হাজার ৬৪ জন। দেশটির মূল ভূখণ্ডের বাইরে মারা গেছেন আরও ৪৮ জন। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৯৬৭ জন।
চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এপর্যন্ত ১ হাজার ১৪৬ জনের শরীরে এনসিওভি-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন অন্তত ১১ জন।
ইরানেও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস। দেশটিতে অন্তত ৯৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন অন্তত ১৬ জন। তবে, সরকারি এই হিসাবের সঙ্গে একমত নয় পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। তাদের দাবি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে করোনাভাইরাসে অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
এছাড়া, জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬৯১ যাত্রীর শরীরে প্রাণঘাতী নতুন ভাইরাস ধরা পড়েছে। ইতোমধ্যে জাহাজটির অন্তত চার যাত্রী মারা গেছেন।
ইতালিতে ৩৯৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১১ জন। হংকংয়ে আক্রান্ত ৮৫, মৃত্যু দুইজনের; জাপানে আক্রান্ত ১৫৯, মৃত্যু একজনের; সিঙ্গাপুরে ৯১ জন করোনায় আক্রান্ত; যুক্তরাষ্ট্রে ৫৩ জনের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে।
এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ হাজার ৪৭৬ জন।
সূত্র: সিএনবিসি, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট