Notuner Kotha

নতুন প্রজন্মের কাছে একুশের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে: নুরুল আমিন রুহুল এমপি

মনিরুল ইসলাম মনির :
মতলব উত্তর উপজেলায় বিনম্র শ্রদ্ধায় ২১শে ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেয় উপজেলা প্রশাসন।
একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আলহাজ্ব নূরুল আমিন রুহুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা আক্তার, মতলব উত্তর থানা পুলিশ, উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, উপজেলা জাতীয় পার্টি, মতলব উত্তর প্রেসক্লাব’সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।
রাত ১২.০১ ঘটিকায় পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএম জহিরুল হায়াতের সভাপতিত্বে ও সহকারি শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়ার সঞ্চালনায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরে বর্ণাঢ্য প্রভাত ফেরী বের হয়। পরে উপজেলা পরিষদের বটমূলে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে ইউএনও এএম জহিরুল হায়াত। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. আলহাজ্ব নূরুল আমিন রুহুল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. রুহুল আমিন।পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন অতিথিবৃন্দ।
ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল মন্তব্য করে নুরুল আমিন রুহুল বলেছেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। বাঙালির ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার অস্তিত্ব রক্ষায় আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
নুরুল আমিন রুহুল আরো বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের ষাট বছর পেরিয়ে গেছে। মাতৃভাষার জন্য লড়াই করা জাতি হিসেবে পৃথিবীতে আমাদের পরিচয়। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলা ভাষায় রচিত গুরুত্বপূর্ণ রচনাসমূহ অনুবাদ করে বিশ্বব্যাপী প্রচার করতে হবে। তা না হলে ভিন্নভাষী জনগোষ্ঠী আমাদের আন্দোলন, সংগ্রাম, ভাষা, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে না। অন্যরা যদি বিষয়টি না জানে তাহলে কীভাবে তাদের চর্চার মধ্যে আনবে। আমাদের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর ভাষা রক্ষায় মনোযোগ দিতে হবে। মাতৃভাষা প্রীতি দেশপ্রেমের অন্যতম প্রধান অংশ।