Notuner Kotha

ইরানে নিহত কানাডার নাগরিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার ডলার দেয়ার ঘোষণা

নতুনেরকথা অনলাইন :

তেহরানে ‘ভুলবশত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত কানাডার নাগরিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

ওই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কাসেম সোলায়মানির ত্যাগ করে খর্ব করা উচিত নয় বলে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বক্তব্যের পরই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ঘোষণা এলো।

আনাদোলু নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা কমিয়ে আনতে আহ্বান জানাই। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত কানাডার নাগরিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে পূর্ণ সহায়তা করবে কানাডা সরকার। নিহতদের মরদেহ দেশে আনা, তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন এবং অন্যান্য কাজে ব্যয়ে ২৫ হাজার ডলার দেয়া হবে প্রতিটি পরিবারকে।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো আরো বলেন, এখনও নিহতদের পরিবারকে ইরানের পক্ষ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা আসেনি। আশা করছি, ইরান এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদান করবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি ভুলবশত ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান গুলি করে ভূপাতিত করে তেহরান। কিয়েভগামী ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস বোয়িংয়ের ৭৩৭-৮০০-তে ১৭৬ যাত্রী ছিলেন। যেখানে ইরানের ৮২ জন, কানাডার ৫৭ জন, ইউক্রেনের ১১ জন, সুইডেনের ১০ জন, আফগানিস্তানের চারজন এবং যুক্তরাজ্যের তিনজন নিহত হয়।

এমন ঘটনায় তেহরানে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

বিক্ষোভ থামাতে গত বুধবার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

ইরানে মতানৈক্যের বিরল দৃষ্টান্তের মধ্যেই কীভাবে বিমানটি ভূপাতিত হয়েছে, তার পূর্ণ বিবরণ দিতে সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রুহানি।

গত ৩ জানুয়ারি বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানি জেনারেন ও কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি।

তাকে হত্যার দায় স্বীকার করে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিবৃতি দেন, ইশ্বর আমাদের পাশে রয়েছেন।

এরপরই জেনারেল সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধে গত ৮ জানুয়ারি ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তেহরান। এর কয়েক ঘণ্টার পরেই ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটিকে ভুলবশত ভূপাতিত করে ইরানের সেনারা।

ওই দুর্ঘটনার তিনদিন পর দায় স্বীকার করে স্বচ্ছভাবে ব্ল্যাক-বক্সের তথ্য বিশ্লেষণের প্রতিশ্রুতি দেয় ইরান।