Notuner Kotha

ফরিদগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে নিরুদ্দেশ স্বামীর সন্ধানে সহায়তা চায় এক গৃহবধূ

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে নিরুদ্দেশ স্বামীর সন্ধানে সহায়তা চেয়েছে চায়না আক্তার লিলি নামে এক গৃহবধূ। গত ৫ মাস ধরে শ্বশুর বাড়ি এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোন কাজ হয়নি। স্বামীর খোঁজে পৌর মেয়রের কাছে শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেও সেখানেও কাজ হয়নি। প্রতিপক্ষকে হাজির করেত ব্যর্থ হয়ে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মেয়র। কোন কুলকিনারা না পেয়ে বাধ্য হয়ে আইনশৃংকলা বাহিনী সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই গৃহবধূ।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গৃহবধূ চায়না আক্তার লিলি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর কাছিয়াড়া গ্রামের ফারুকুল ইসলাম মিজির ছেলে রিফাতুল ইসলাম রিমনকে ভালোবেসে কোর্ট এফিডেভিট মূলে বিয়ে করে সে। বিয়ের পর উভয় পরিবারের সম্মতিতে শ্বশুড় বাড়িতে না উঠে উপজেলা সদরে বাসা ভাড়া করে তারা দাম্পত্য জীবন শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ করেই যৌতুকের দাবীতে তার উপর শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। তার মা রৌশনারা বেগম আমার সুখের কথা চিন্তা করে, আমার স্বামীর হাতে ৫০ হাজার টাকা দেই। পরবর্তীতে আবারো তারা এক লক্ষ টাকা দাবী করে নির্যাতন শুরু করে।
এক পর্যায়ে আমি তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় এবছরের গত ১৩ জানুয়ারী বেলা ১১টার দিকে সকলে মিলে আমাকে মারধর করে । এক পর্যায়ে ভাড়াটিয়া বাসা থেকে আমাকে না বলে আমার স্বামী বের হয়ে যায়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তার কোন হদিস নেই। তার ব্যবহৃত মুঠো ফোন নাম্বারটিও বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি আমার শ^শুড় শাশুড়িকে জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করে নি। উল্টো আমি ও আমার মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে আমাদেরকে হয়রানি করে আসছে। এদিকে আমার খোঁজ খবর না নেয়ায় বাধ্য হয়ে আমি পৌর মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। মেয়র নোটিশ দিয়েও তাদের হাজির করতে ব্যর্থ হওয়ায় আমাদেরকে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন।
এখন আমি আমার স্বামীকে খুঁজে পেতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করছি। এছাড়া মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে এসময় লিলির মা রোশনারা বেগম উপস্থিত ছিলেন।