Notuner Kotha

মতলব উত্তরে নেদায়ে ইসলামের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে তদন্ত, আবেদনকারী অনুপস্থিত

মতলব উত্তর ব্যুরো :
চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী নেদায়ে ইসলামের নিবন্ধন বাতিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে সমাজসেবা বিভাগের পক্ষ থেকে তদন্তে আসেন বুধবার। গত ৮ আগস্ট ২০১৯ খ্রিঃ আল্লামা শায়খ মোস্তাক আহমেদ চেয়ারম্যান, নেদায়ে ইসলাম ও ডা. মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী, সেক্রেটারি জেনারেল, নেদায়ে ইসলাম স্বাক্ষরিত আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫ জানুয়ারি বুধবার তদন্ত কমিটি মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি কমপ্লেক্সে আসলেও আবেদনকারী দু’জন বা তাদের কোনো প্রতিনিধি তদন্ত কমিটির সামনে আসেনি।
কিন্তু নেদায়ে ইসলামের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে তদন্ত কমিটি ফরাজীকান্দি কমপ্লেক্সে এসেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ৫ শতাধিক লোক তদন্ত কমিটির সামনে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারা নেদায়ে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শায়খ বোরহানুদ্দিন (রাঃ) (বোরহান পীর সাহেব)এর হাতে গড়া সংগঠন ও তার স্মৃতির নেদায়ে ইসলামের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। তারা ১৯৬৩ সালে নিবন্ধন হওয়া এই প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন যাতে বাতিল না হয় সে দাবি জানান।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দাউদকান্দির উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানায়, নেদায়ে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শায়খ বোরহান উদ্দিন (রা.) এর ওফাতের পর দীর্ঘ ৩৮ বছর তার সুযোগ্য সন্তান আল্লামা শায়খ ড. মানযুর আহমেদ আল-আহমাদী নেদায়ে ইসলামের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১২ সালে নেদায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান ও ফরাজীকান্দি দরবারের পীর কেবলা আল্লামা শায়খ ড. মানযুর আহমেদ আল-আহমাদীর মৃত্যুর পর তার ভাই আমেরিকা প্রবাসী মোশতাক আহমেদ বিভিন্নভাবে নেদায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান তথা এই দরবারের পীর হওয়ার চেষ্টা ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সম্পদ বিক্রির চেষ্টা করে আসছেন। এ বিষয়ে কোন ধরনের সুবিধা করতে না পেরে নেদায়ে ইসলামের নিবন্ধন বাতিল করে নিজের নামে নতুন নিবন্ধন নিয়ে নেদায়ে ইসলামের কোটি কোটি টাকার সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ ২০১২ সালের পর থেকে এই নেদায়ে ইসলামের সকল প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন শায়খ মনযুর পীর সাহেবের সুযোগ্য সন্তান আল্লামা শায়খ মাসউদ আহমেদ।
নেদায়ে ইসলামের নিবন্ধন বাতিলের আবেদনের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।