Notuner Kotha

মতলবে শিশু তাওহিদ খুনের অভিযোগে সৎ দাদি ফুফু আটক

সফিকুল ইসলাম রিংকু:

মতলবে পারিবারিক কোলাহলে, শিশু তাওহিদকে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের নাউজান গ্রামের ফজলু ডাক্তার বাড়ির অদূরে এক ডোবা থেকে ২৫ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে তাওহিদুল ইসলাম (২ বছর ৪ মাস) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় পুলিশ শিশুটির সৎ দাদী জাহেদা বেগম (৪০) ও সৎ ফুফু লাকি আক্তার (২৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।

শিশুটির মা সাহেদা জানায়, ঘটনার দিন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বড় ছেলের জন্য জিনিসপত্র নিয়ে যেতে মেঝ ছেলেকে এগিয়ে দিতে বাড়ীর অদূরে যায়। পরে বাড়ীতে ফিরে তার তৃতীয় ছেলে তাওহিদুল ইসলামকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুজি করে। ছেলেকে না পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে বাড়ীর ও আশে পাশের লোকজনও তাকে খোঁজতে থাকে। গ্রামবাসীরা বাড়ীর অদূরে ডোবায় অর্ধ কাঁদামাটি ও পানির মাঝে তার ছেলের লাশটি দেখতে পায়। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে থানায় নিয়ে আসে।

শিশুটির মামা কুতুব উদ্দিন নোমান বলেন, গত তিন আগে (২২ ডিসেম্বর রোববার রাত ৮টায়) আমার ভগ্নিপতি কামরুল ইসলামের সাথে তার সৎ ভাই নূরে আলম (২৭) ও জানে আলম (২২) এর সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়। ঝগড়ার সময় সৎ ভাইয়েরা তাদের পরিবারকে নিঃশেষ করে ফেলবে এবং দুইজনকে মেরেছি, বাকীদেরকেও প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমার ভগ্নিপতি কামরুল ইসলাম, ভাগিনা সিদরাতুল ইসলাম (১৪) ও আমার বোন সাহেদা জামান (৩০) আহত হয়। বর্তমানে আমার ভগ্নিপতি ও ভাগিনা চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, ডোবা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির ফুফু ও দাদীকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সহকারি পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, ডোবা থেকে লাশ উদ্বারের পর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির সৎ দাদী ও ফুফুকে আনা হয়েছে। তবে নূরে আলম ও জানে আলমকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।