মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
হাজীগঞ্জে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা শাখার উদ্যোগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার ও জীবিত মুুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে রোটারী ক্লাব অব হাজীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে এই কম্বল বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ওসমান আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. ওসমান আলী বলেন, সেসব মুক্তিযোদ্ধাদের কেন যাচাই-বাছাই করা হবে? সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এ যাচাই-বাছাইকে সমর্থন করেনা এবং করবেও না। এ সময় তিনি ১৫টি দাবী উপস্থাপন করে বলেন, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কৌটা পূণরায় বহাল করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণে তৃতীয় শ্রেণি থেকে শুরু করে, সকল শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অধ্যায় বাধ্যতামূলক করতে হবে।
সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মো. ওসমান আলী বলেন, দেশে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন দিবস পালন করা হয়। অথচ মুক্তিযোদ্ধা দিবস নেই। এ ছাড়াও সরকারিভাবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সংবর্ধণাসহ পুরস্কৃত করা হয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের করা হয় না। তাই পহেলা ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা করতে হবে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবর্ধণাসহ পুরস্কার দিতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চাবী আমলাদের হাতে কেন?, এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চাবী ডিসি (জেলা প্রশাসক) এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চাবী ইউএনও’র (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) হাতে কেন ? মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চাবী মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে থাকবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চাবী মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা আহবায়ক ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব এ.বি.এম সুলতান আহমেদ ও সিনিয়র সদস্য বাবু কালা নারায়ণ লোধ প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ, ঢাকা অফিস : ২০৫/৩ ফকিরাপুল, ঢাকা। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত : নতুনেরকথা
Copyright © 2024 Notuner Kotha. All rights reserved.