Notuner Kotha

পরকীয়ার টানে নিরুদ্দেশ মা, অবুঝ শিশুকে অপহরণ করলেন নানী

স্টাফ রিপোর্টার॥
শাহরাস্তিতে মেয়ের নাতী অপহরণের দায়ে এক নানীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসা ওই শিশুটিকে নানী কর্তৃক অপহরণ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ হওয়া শিশুর চাচা বাদি হয়ে তার নানীকে প্রধান আসামীসহ আরো দুই জনকে অভিযুক্ত করে শাহরাস্তি থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
অপহরণ হওয়া শিশুর চাচা আরাফাত হোসেন জানায়, ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউপি’র শ্যামপুর গ্রামের সরকার বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে খাদিজা আক্তারের সঙ্গে সূচিপাড়া উত্তর ইউপি’র বড়–য়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত নজরুল ইসলামের পুত্র প্রবাসী মুজাম্মেল হকের বিবাহ হয়। তাদের ওই দাম্পত্য জীবনে কিছুদিন যেতে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে স্বামী মুজাম্মেল হক কর্মের তাগিদে উড়ে যান প্রবাসে। ওই সময় স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে (২৫) বিশ্বাস করে রেখে যান নিজ মায়ের নিকট। বৃদ্ধমাকে খাদিজা ঘুমে রেখে অল্প দিনেই মুঠোফোনের সুবাধে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন অনৈতিক সম্পর্কে।পরে স্বামী মুজাম্মেলসহ তার স্বজনরা বিষয়টি টেরপেয়ে তাকে ওই পথ থেকে ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। ওই বাঁধা না মেনে খাদিজা পরকিয়ায় জালে নিজেকে জড়িয়ে আরো উম্মাদ হয়ে উঠে। এক পর্যায় শাহরাস্তি পৌর শহরের কর্মরত সিলেটের বাসিন্দা তাজ কোম্পানির এক প্রতিনিধি হারিছ আলীর সঙ্গে পরিচয় ও সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েন। ওই সর্ম্পকের সংবাদ স্বামী পক্ষ জেনে বাধা সৃষ্টি করলে খাজিদা চটে গিয়ে স্বামী মুজাম্মেলকে ২০১৮সালের ৪ অক্টোবর ডিভোর্স দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি ষ্ট্যাম্প সই চুক্তির সমঝোতায় হয়।পরে পিতা মুজাম্মেল এক মাত্র শিশু পুত্র আব্দুল্লাহ্কে(৭) তার চাচা আরাফাত হোসেনের নিকট ঢাকায় রেখে আরব আমিরাতে চলে যান। সেখানে আব্দুল্লাহ রুপনগর মীরপুর শাখার তানজিমুল ঊম্মা মাদ্রাসার নার্সারী শ্রেণীতে লেখা পড়ার জন্য ভর্তি হয়। এদিকে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে চাচা আরাফাত ভাতিজা আব্দুল্লাহকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি শাহরাস্তিতে ঈদ করতে আসেন। গত মঙ্গলবার চাচা -ভাতিজা আব্দুল্লাহকে নিয়ে বাড়ির পাশে চা দোকানে চা খেতে যায়। ওই সুযোগে কে বা কাহারা আব্দুল্লাহকে চাচার অগোচরে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুক্ষন পর চাচা ভাতিজা আব্দুল্লাকে না পেয়ে চারদিকে খোঁজ শুরু করলে স্থানীয়রা তার নানী আয়শা বেগম (৪৫) আবদুল্লাহকে নিয়ে গেছে বলে প্রাথমিক ভাবে সনাক্ত করে। এ বিষয়ে অপহরণ হওয়া শিশুর চাচা আরাফাত তার ভাই-ভাবীর বিচ্ছিন্ন সর্ম্পক, ষ্ট্যাম্পের চুক্তি ভঙ্গ, শিশু ভাতিজাকে অপহরনের দায়ে শিশুর নানী, মা, নানাকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে শাহরাস্তি থানা পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স শিশুর নানার বাড়ি উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে তদন্তে যান। এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে শাহরাস্তি থানার উপ-পরিদর্শক এ.কে আজাদ মুঠোফোনে জানান, অপহৃত আব্দুল্লাহ্ হাজির করতে অভিযুক্ত নানার বাড়ির পরিবারের সদস্যদের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। না হলে বিষয়টি মামলার ভিত্তিতে আইনি প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হবে।