Notuner Kotha

ঈদ আনন্দে চাঁদপুর ত্রিনদীর মোহনায় মানুষের ঢল

শরীফুল ইসলাম:
পবিত্র মাহে রমজান শেষে গত ৫ জুন বুধবার সারাদেশে একযোগে পালিত হলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। সারাদেশের ন্যয় ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছিলো চাঁদপুরবাসীও। আর ঈদ আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মোলহেডে ত্রিনদী’র মোহনায় ছিলো দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। প্রতিবছরই ঈদের দিন হতে শুরু করে সপ্তাহব্যাপি পর্যন্ত এ ভিড় দেখা যায়।

যদিও এবার ঈদের দিন বৈরী আবহাওয়ার কারনে মানুষের তেমন কোন উপস্থিতি দেখা না গেলেও ঈদের ২য় দিন থেকে শুরু হয় মানুষের বাঁধভাঙ্গা ঢল। আর দর্শনার্থীদের এমন ঢল চলতে থাকবে আরো ২-৩ দিন পর্যন্ত।

চাঁদপুরের একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া- এ তিন নদীর মিলনস্থল বড়স্টেশন মোলহেডে গিয়ে দেখাযায়, চাঁদপুর শহর এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা মোহনার চারপাশে ছিলো অসংখ্য মানুষের ভিড়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ঘুরতে এসেছেন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে।

কেউ কেউ তাদের ভাই, ভাবি, ভাতিজী, বোন, ভাগিনা, ভাগ্নি, স্ত্রী-সন্তান কিংবা তাদের প্রিয়জনকে নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনটি নদীর মিলনস্থলে ঘুরে ফিরে সময় কাটিয়েছেন। বিভিন্ন মানুষের উপস্থিতিতে সেখানে সৃষ্টি হয় এক মহামিলন মেলা। সেখানে নাগর দোলা, চরকী ঘোড়া এবং নৌকা থাকায় শিশুরা সেগুলিতে চড়ে আরো বেশি আনন্দ উপভোগ করেন। আবার কেউ কেউ নিজস্ব ক্যামেরা কিংবা মুঠোফোনে বিভিন্ন রঙে ঢঙে রক্তধারা এবং ত্রিনদীর মোহনায় দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে ঈদ আনন্দ উপভোগ করেন।

ঘুরতে আসা ফরিদগঞ্জের সাইফুল ও সুপ্তি জানান, সারাবছরই কোন না কোন সময় ঘুরতে বের হন। কিন্তু বছরের ২টি ঈদ আমাদের কাছে স্পেশাল। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা ঘুরতে আসি। চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেড এলাকটি খুবই চমৎকার একটি স্থান। এখানে না আসলে বুঝা যায় না, কতটুকু সুন্দর এই স্থান। আমরা চাই সকল পরিবার ঈদ আনন্দে নিজেদের পছন্দের মানুষদের নিয়ে এখানে বেড়াতে আসবেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস বলেন, ঈদের সময়ে চাঁদপুর ত্রিনদীর মোহনায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ ঘুরতে আসে। আমরা দর্শনার্থীদের সব রকম সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছি। যাতে কেই এখানে এসে হয়রানি না হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এএসপি (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, ঈদকে ঘিরে আমরা মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। বিশেষ করে মোলহেড এলাকায় যেনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। তবে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় বড়স্টেশন মোলহেডে সন্ধ্যার পর কাউকে থাকতে দেই না।