শাহরাস্তি প্রতিনিধি:
আমি আমার স্ত্রী কুলসুমকে অনেক ভালোবাসতাম বিশ্বাস করতাম। সে যা চাইতো আমি তাকে তাই দিতাম। সকল আবদার পূরণে নিজের আন্তরিকতায় ঘাটতি রাখিনি কখনও। আজ আমি হেরে গেলাম, নিঃস্ব হলাম তার পরকীয়ার কালো ছোঁয়ায়, আমি শেষ হয়ে গেছি-- কথাগুলো প্রবাস থেকে মুঠো বলতে বলতে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন স্ত্রীকে হারানো হতভাগা স্বামী ইসমাইল।
ঘটনাটি গত ২৯ মে বুধবার চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরসাক গ্রামে ঘটে। এ ঘটনায় ইসমাইলের মা হনুফা বেগম বাদি হয়ে শাহরাস্তি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেছেন।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার জাফর নগর গ্রামের নজরুল ইসলামের কন্যা উম্মে কুলসুমের সাথে শরা-শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার শোরসাক গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র ইসমাইল হোসেন।
এব্যাপারে ইসমাইলের মা হনুফা বেগম বলেন, ইসমাইল আমার বড় ছেলে। সে দীর্ঘ বছর প্রবাসে থাকে। তার বিয়ের বয়স ৭ বছর চললেও বৌকে নিয়ে এরই মধ্যে বেশ ক'বার স্থানিয় সালিশ করতে হয়েছে। কুলসুম ক্রমাগত পর-পুরুষে আসক্ত হলে তার বাবা মা'কে জানাই। তারা এসে কুলসুমকে
শাষন-সোহাগের মাধ্যমে বুঝিয়ে চলে যান। ঘটনার দিন রাতে কুলসুম (২৫) আমি এবং আমার স্বামীকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে পাশের বাড়ির মৃত আলী মিয়ার পুত্র বিল্লাল হোসেনের (৩২) সাথে আমাদের স্বর্ণালংকার ও টাকা কড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কুলসুমকে। আমার ছেলেও পরিবারকে বিল্লালের সাথে আঁতাত করে ধংস করেছে এই কুলসুম। আমার ছেলের অর্জিত স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কুলসুম ও বিল্লাল। তিনি তাদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
কুলসুমের মা শামছুন্নার বলেন, আমার কন্যা কুলসুমকে এখানে বিয়ে দেয়ার পর থেকে সে সুখি না। সে কোথায় গেছে, কার সাথে গেছে তা আমরা জানি না। তবে আমরাও তাকে খুঁজছি।
ইসলাইলের বোন পান্না বলেন, বিল্লাল বাজে ছেলে। সে আমাকেও এধরনের কাজে সাড়া জাগাতে বলেছিলো। আমি তারর এহেন
কুপ্রস্তাবে রাজি হইনি। যে কারনে বিল্লাল আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে পটিয়ে আমাদের স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমরা সামাজিক ও আইন প্রসাশনের মাধ্যমে তাদের বিচার দাবি করছি।
এলাকাবাসী বলেন, বিল্লাল ৩ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। বড় ভাই অবিবাহিত থাকলেও তার মেঝ ভাই একাধিক বিয়ে করেছেন এবং ওই ভাইয়ের প্রশ্রয়ের কারনেই বিল্লাল এলাকায় বখাটেপনা করতো। আজ একটি অসহায় পরিবারকে নিজের ভোগ বিলাশিতার লক্ষ্যে নিঃস্ব করেছে বিল্লাল। এ ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড প্রতিরোধে এলাকাবাসীকে সোচ্ছার হওয়ার উদ্বার্ত আহবান জানান তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ, ঢাকা অফিস : ২০৫/৩ ফকিরাপুল, ঢাকা। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত : নতুনেরকথা
Copyright © 2024 Notuner Kotha. All rights reserved.