Notuner Kotha

নৌ পুলিশের ডিআইজির নেতৃত্বে চাঁদপুরে জেলে পল্লিতে অভিযান, ১৯ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ, ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ

শরীফুল ইসলাম:

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমে নৌ পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত নদীতে নৌ পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নৌ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অভিযানে চাঁদপুর নৌ-সীমানার হরিনা এলাকার নদীর পাড়ে বিকেলে খালের ভিতরে অসংখ্য জেলে মা ইলিশ ধরার প্রস্তুতি কালে নৌ পুলিশের ডিআইজি মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামের নেতৃতে অভিযানের যাওয়া টিমের দৃস্টি আকৃস্ট হলে জেলেদেরকে নদী থেকে উঠে যাওয়ার জন্য ১৯ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় জেলেরা আতংকে কারেন্ট জাল ফেলে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানান। এ অভিযান কালে সদর উপজেলার লক্ষীপুর,গুচছ গ্রাম,গোবিন্দিয়া,লক্ষীপুর চর এলাকা,হরিনা,মিনিকক্য বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে। সে জাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেড মনঞ্জুরুল মোরশেদ ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকীর উপস্থিতে নদী তীরে জ্বালিয়ে ধবংশ করা হয়। পুড়িয়ে ফেলা জালের মূল্য প্রায় ৯কোটি টাকা বলে নৌ পুলিশ ডিউটি অফিসার জানান।

চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচির আওতায় চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদীতে মা ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

৯ থেকে ২৯ অক্টোবর নদীতে নৌ-পুলিশের অভিযানে ৩ হাজার ১শ’ জেলেকে জেল-জরিমানা এবং ১৫ কোটি মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এছাড়া ৩৮ টন মা ইলিশ জব্দ করা হয়। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিষেধাজ্ঞা শেষে কারেন্ট জালের উৎপাদন বন্ধে জাল তৈরির কারখানাতে নৌ-পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া নৌ পুলিশের অভিযান আরো জোরালো করতে নৌ-যানসহ বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট বাড়ানো হবে বলে নৌ পুলিশের প্রধান জানান।

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে নৌ ডিআইজি আরো জানান, কারেন্ট জাল যেন উৎপাদন না হয় সে জন্য আমরা নদী ছাড়াও জাল তৈরীর জায়গা বন্ধ করার চেষ্টা করছি। আমারা মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে ৩০ অক্টোবরের পরেও আমাদের অভিযান পরিচালনা করবো। জেলেদের গ্রেফতার করা বা তাদের হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য না, আমাদের উদ্দেশ্য তাদের মধ্যে সচেতনা বৃদ্ধি করা। জেলেরা যেন নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ না ধরে অন্য কোন কাজ করে। তারাও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় মাছগুলোও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মাহবুবুর রহমান, মোল্লা নজরুল, পুলিশ সুপার এবিএম হারুনুর রশিদ, সফিকুল ইসলাম, জমশের আলী। এছাড়াও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেড মনঞ্জুরুল মোরশেদ, নৌ পুলিশের আবু তাহের খানসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।