বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তিদের বিশাল চক্রান্ত ছিল : রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি

  • আপডেট: ০২:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৯
  • ৩৯

গাজী মহিনউদ্দিন॥
মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি বলেছেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তিদের বিশাল চক্রান্ত ছিল। এ চক্রান্তের প্রধান ছিল মোস্তাক ও বিরোধী দলের প্রধান।
বুধবার বিকলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়–য়ার পরিকল্পনায় উপজেলা পরিষদের অর্থায়ণে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও মহান মুক্তিযুদ্ধের দেয়ালচিত্র সংবলিত টেরাকোটা ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব চত্ত্বর’ উদ্বোধন শেষে উপজেলা ই-সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশে^ যতোগুলো রাজনৈতিক হত্যাকা- ঘটেছে, এমন নৃশংস হত্যাকা- কোন দেশে ঘটেনি। খুনীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তার আট বছরের শিশুসহ পরিবারের নারী ও শিশুসহ সকল সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। বর্তমান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুনীদের বিচার হয়েছে। কয়েকজনের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। বাকী দ- প্রাপ্তদের খুঁজে বের করে সাজা প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যার ২১টি বছর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জনগন নির্যাতিত, নিপিড়িত ছিল। অনেকে পাশবর্তী দেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এদেশ স্বাধীনতার শ্লোগান জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলা নিষিদ্ধ ছিল। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি কখনোই ক্ষমতার স্বাদ পাবেনা। বাংলার জনগণ তাদের সকল কাজ প্রত্যাখ্যান করছে এবং করবে। তারা যেখানে আছে, সেখান থেকে ক্ষমতার মসনদ দেখা স্বপ্ন বৈই কিছুই না।
তিনি হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়ন নিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন এমপি হয়, তখন এ দু’উপজেলায় মাত্র ৫ কিলোমিটার সড়ক পাকা ছিল। এখন সাড়ে ৩’শ কিলোমিটার সড়ক পাকা। ৫’শর মতো প্রাইমারী স্কুল, কলেজ, হাই স্কুল, মাদরাসা ভবন পাকা করা হয়েছে। যে ডাকাতিয়া নদীর উপর একটি সেতুও ছিলনা, এখন সেখানে ৮টি সেতু হয়েছে।

তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা এখন শতভাগ বিদ্যুতায়িত এলাকা। বিদ্যুতের জন্য হা-হা-কার নেই। এ সবগুলোই সম্ভব হয়েছে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার কারণে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়–য়।


এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার,  চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গাজী মাইনুদ্দীন, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ. স. ম মাহবুব-উল আলম লিপন, জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ সৈয়দ আহমদ খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ হাজী জসিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলি পারভীন মিলি, ১নং রাজারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাদী, ২নং বাকিলা ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউছুফ পাটওয়ারী, ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মানিক প্রধানিয়া, ৫নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান মীর, ৭নং বড়কুল ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মনির, ৮নং হাটিলা ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা দুলাল, ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলিটারী, ১০নং গন্ধর্ব্যপুর ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু, ১১নং হাটিলা পশ্চি ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটু, দ্বাদশ গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক হেলাল, পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ফেরদৌস আকতার, আওয়ামীলীগ নেত্রী, মুক্তা বেগম, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, পৌর যুবলীগের আহবায়ক ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলি, সাধারন সম্পাদক আবু ইউছুফ গাজী মোহন, পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বি প্রমূখ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তিদের বিশাল চক্রান্ত ছিল : রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি

আপডেট: ০২:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৯

গাজী মহিনউদ্দিন॥
মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি বলেছেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তিদের বিশাল চক্রান্ত ছিল। এ চক্রান্তের প্রধান ছিল মোস্তাক ও বিরোধী দলের প্রধান।
বুধবার বিকলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়–য়ার পরিকল্পনায় উপজেলা পরিষদের অর্থায়ণে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও মহান মুক্তিযুদ্ধের দেয়ালচিত্র সংবলিত টেরাকোটা ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব চত্ত্বর’ উদ্বোধন শেষে উপজেলা ই-সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশে^ যতোগুলো রাজনৈতিক হত্যাকা- ঘটেছে, এমন নৃশংস হত্যাকা- কোন দেশে ঘটেনি। খুনীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তার আট বছরের শিশুসহ পরিবারের নারী ও শিশুসহ সকল সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। বর্তমান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুনীদের বিচার হয়েছে। কয়েকজনের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। বাকী দ- প্রাপ্তদের খুঁজে বের করে সাজা প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যার ২১টি বছর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জনগন নির্যাতিত, নিপিড়িত ছিল। অনেকে পাশবর্তী দেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এদেশ স্বাধীনতার শ্লোগান জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলা নিষিদ্ধ ছিল। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি কখনোই ক্ষমতার স্বাদ পাবেনা। বাংলার জনগণ তাদের সকল কাজ প্রত্যাখ্যান করছে এবং করবে। তারা যেখানে আছে, সেখান থেকে ক্ষমতার মসনদ দেখা স্বপ্ন বৈই কিছুই না।
তিনি হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়ন নিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন এমপি হয়, তখন এ দু’উপজেলায় মাত্র ৫ কিলোমিটার সড়ক পাকা ছিল। এখন সাড়ে ৩’শ কিলোমিটার সড়ক পাকা। ৫’শর মতো প্রাইমারী স্কুল, কলেজ, হাই স্কুল, মাদরাসা ভবন পাকা করা হয়েছে। যে ডাকাতিয়া নদীর উপর একটি সেতুও ছিলনা, এখন সেখানে ৮টি সেতু হয়েছে।

তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা এখন শতভাগ বিদ্যুতায়িত এলাকা। বিদ্যুতের জন্য হা-হা-কার নেই। এ সবগুলোই সম্ভব হয়েছে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার কারণে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়–য়।


এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার,  চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গাজী মাইনুদ্দীন, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ. স. ম মাহবুব-উল আলম লিপন, জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ সৈয়দ আহমদ খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ হাজী জসিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলি পারভীন মিলি, ১নং রাজারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাদী, ২নং বাকিলা ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউছুফ পাটওয়ারী, ৩নং কালচোঁ উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মানিক প্রধানিয়া, ৫নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান মীর, ৭নং বড়কুল ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মনির, ৮নং হাটিলা ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা দুলাল, ৯নং গন্ধর্ব্যপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলিটারী, ১০নং গন্ধর্ব্যপুর ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু, ১১নং হাটিলা পশ্চি ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটু, দ্বাদশ গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক হেলাল, পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ফেরদৌস আকতার, আওয়ামীলীগ নেত্রী, মুক্তা বেগম, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, পৌর যুবলীগের আহবায়ক ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলি, সাধারন সম্পাদক আবু ইউছুফ গাজী মোহন, পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাছান রাব্বি প্রমূখ।