শহীদদের নিয়ে মামলার নামে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস

  • আপডেট: ০৯:৪৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৫৪

শরীয়তপুরে জনসভায় কথা বলছেন সমন্বয়ক সারজিস ইসলাম। ছবি-নতুনেরকথা।

কোটা আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও অন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্ৰেফতার কিংবা হয়রানি না করতে অনুরোধ করেন সারজিস।

এ ছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও সরকারের বিভিন্ন স্তরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিবিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন মহল। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।

সারজিস আলম দুর্নীতিগ্রস্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কেউ একজন জেলা প্রশাসক হোক, বিভাগীয় কমিশনার হোক, সচিব হোক কিংবা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হোক যদি তিনি অপরাধী হন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।’

শরীয়তপুরের সড়কের উন্নয়নের নামে গল্প বলা হয়েছিল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম শরীয়তপুর পদ্মা সেতু সংলগ্ন জেলা হওয়ায় উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গিয়েছে। কিন্তু আজ যখন সড়কের অবস্থা দেখলাম মনে হলো একবার কাঞ্চনজঙ্ঘা যাচ্ছি আরেকবার হিমালয়ের দিকে যাচ্ছি।’

এর আগে সকাল ১০ টায় শরীয়তপুর আসেন সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ১০ সমন্বয়ক। বেলা ১২ টায় ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন সমন্বয়করা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

শহীদদের নিয়ে মামলার নামে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস

আপডেট: ০৯:৪৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোটা আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও অন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্ৰেফতার কিংবা হয়রানি না করতে অনুরোধ করেন সারজিস।

এ ছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও সরকারের বিভিন্ন স্তরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিবিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন মহল। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।

সারজিস আলম দুর্নীতিগ্রস্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘কেউ একজন জেলা প্রশাসক হোক, বিভাগীয় কমিশনার হোক, সচিব হোক কিংবা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হোক যদি তিনি অপরাধী হন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, অর্থ আত্মসাতের ঘটনা থাকে তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।’

শরীয়তপুরের সড়কের উন্নয়নের নামে গল্প বলা হয়েছিল বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম শরীয়তপুর পদ্মা সেতু সংলগ্ন জেলা হওয়ায় উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গিয়েছে। কিন্তু আজ যখন সড়কের অবস্থা দেখলাম মনে হলো একবার কাঞ্চনজঙ্ঘা যাচ্ছি আরেকবার হিমালয়ের দিকে যাচ্ছি।’

এর আগে সকাল ১০ টায় শরীয়তপুর আসেন সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ১০ সমন্বয়ক। বেলা ১২ টায় ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন সমন্বয়করা।