হাজীগঞ্জের লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন

ছবি-নতুনেরকথা।

দেশের ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় বন্যাদুর্গত এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার পানিবন্দী মানুষের মাঝে প্রায় ৯ লাখ টাকার ত্রাণ (খাদ্য) সামগ্রী বিতরণ করেছে হাজীগঞ্জের লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রিপোর্টার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে সংগঠনের সদস্য কাদের খাঁন ত্রাণ সমাগ্রী কার্যক্রমের বিস্তাতির তুলে ধরে বলেন, সম্প্রতি দেশের তিন জেলায় বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর গত ২২ আগস্ট আমরা কয়েকজন লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যক্রম এবং ২৩ আগস্ট থেকে অনুদান সংগ্রহের কাজ শুরু করি।

তিনি বলেন, অনুদান সংগ্রহের শুরু থেকে আমরা দেশের মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। মানুষ আমাদের উপর আস্থা ও বিশ^াস রেখেছেন। তারা আমাদের হাতে টাকা, খাদ্য সামগ্রী ও পোশাক তুলে দিয়েছেন। আমাদের সদস্যরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও পরনের কাপড় (পোশাক) পৌঁছে দিয়েছে।

আয়-ব্যয়ের হিসাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিনের হিসাব, প্রতিদিন আমাদের ফেসবুক পেজে উপস্থাপন করেছি এবং কোন এলাকার কোথায় এবং কাকে খাদ্যসামগ্রী ও পোশাক দিয়েছি, তা আমাদের কাছে রেকর্ড রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছে করলে অথবা আমাদের কাছে হিসাব চাইলে দেখতে পারেন। আমরা প্রস্তুত আছি।

কাদের খাঁন বলেন, আমরা ২৩ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অনুদান সংগ্রহ ও ত্রাণ বিতরণ করেছি। এই ক’দিনে নগদ ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং ৫ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৩ টাকার সমমূল্যের খাদ্য ও ঔষধ মানুষ আমাদেরকে অনুদান হিসেবে দিয়েছেন। আমরা ১ হাজার ৩’শ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি।

তিনি বলেন, এই ১ হাজার ৩’শ জনকে প্রতি প্যাকেটে প্রায় ৬৮০ টাকা সমমূল্যের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি। পাশাপাশি বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের ২ হাজার ৫’শ পরিবারকে পোশাক দিয়েছি। অনুদানের নগদ ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৭ টাকার মধ্যে আমরা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৭ টাকা ব্যয় করেছি। বর্তমানে আমাদের হাতে ৮৫ হাজার ৭৩০ টাকা রয়েছে।

পূর্ণবাসন কার্যক্রম চলমান থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের হাতে যে টাকা রয়েছে, সেই টাকা পূর্ণবাসন কাজে ব্যবহার করবো। আপনারা যেভাবে আমাদের পাশে ছিলেন, আশাকরি ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে দাঁড়াবেন। আমরা আপনাদের হয়ে দেশের অসহায়, অস্বচ্ছল কিংবা দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকবো।

সদস্য মোল্লা রিপনের উপস্থাপনায় বক্তব্য শেষে সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরিফসহ লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য আতিকুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, রেজাউর রহমান শাওন, সফিকুল ইসলাম, মুনতাসির রিয়াদ, রেদোয়ান, আসাদুজ্জামান, কাকন, সাজ্জাদ, বায়োজিদ, মঞ্জুরুল ইসলাম, মুনতাসির জুয়েল, সুমন, শরীফ মজুমদার, ছোটন সাহা, আরেফিন, ইউসুফ, বোরহান, রায়হান, তুহিন, মোফাজ্জল হোসেন, রায়হান মোল্লা, সাইফুল ইসলাম, জাহিদ, নাছির মজুমদার, ইয়াছিন, ইব্রাহিম, তানভীর, রাব্বি ও মোহাম্মদ সেলিম মিয়াসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

হাজীগঞ্জের লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন

আপডেট: ১০:৩৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় বন্যাদুর্গত এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলার পানিবন্দী মানুষের মাঝে প্রায় ৯ লাখ টাকার ত্রাণ (খাদ্য) সামগ্রী বিতরণ করেছে হাজীগঞ্জের লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রিপোর্টার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে সংগঠনের সদস্য কাদের খাঁন ত্রাণ সমাগ্রী কার্যক্রমের বিস্তাতির তুলে ধরে বলেন, সম্প্রতি দেশের তিন জেলায় বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর গত ২২ আগস্ট আমরা কয়েকজন লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যক্রম এবং ২৩ আগস্ট থেকে অনুদান সংগ্রহের কাজ শুরু করি।

তিনি বলেন, অনুদান সংগ্রহের শুরু থেকে আমরা দেশের মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। মানুষ আমাদের উপর আস্থা ও বিশ^াস রেখেছেন। তারা আমাদের হাতে টাকা, খাদ্য সামগ্রী ও পোশাক তুলে দিয়েছেন। আমাদের সদস্যরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও পরনের কাপড় (পোশাক) পৌঁছে দিয়েছে।

আয়-ব্যয়ের হিসাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিনের হিসাব, প্রতিদিন আমাদের ফেসবুক পেজে উপস্থাপন করেছি এবং কোন এলাকার কোথায় এবং কাকে খাদ্যসামগ্রী ও পোশাক দিয়েছি, তা আমাদের কাছে রেকর্ড রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছে করলে অথবা আমাদের কাছে হিসাব চাইলে দেখতে পারেন। আমরা প্রস্তুত আছি।

কাদের খাঁন বলেন, আমরা ২৩ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অনুদান সংগ্রহ ও ত্রাণ বিতরণ করেছি। এই ক’দিনে নগদ ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং ৫ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৩ টাকার সমমূল্যের খাদ্য ও ঔষধ মানুষ আমাদেরকে অনুদান হিসেবে দিয়েছেন। আমরা ১ হাজার ৩’শ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি।

তিনি বলেন, এই ১ হাজার ৩’শ জনকে প্রতি প্যাকেটে প্রায় ৬৮০ টাকা সমমূল্যের খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি। পাশাপাশি বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের ২ হাজার ৫’শ পরিবারকে পোশাক দিয়েছি। অনুদানের নগদ ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৭ টাকার মধ্যে আমরা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৭ টাকা ব্যয় করেছি। বর্তমানে আমাদের হাতে ৮৫ হাজার ৭৩০ টাকা রয়েছে।

পূর্ণবাসন কার্যক্রম চলমান থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের হাতে যে টাকা রয়েছে, সেই টাকা পূর্ণবাসন কাজে ব্যবহার করবো। আপনারা যেভাবে আমাদের পাশে ছিলেন, আশাকরি ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে দাঁড়াবেন। আমরা আপনাদের হয়ে দেশের অসহায়, অস্বচ্ছল কিংবা দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকবো।

সদস্য মোল্লা রিপনের উপস্থাপনায় বক্তব্য শেষে সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরিফসহ লাল-সবুজ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য আতিকুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, রেজাউর রহমান শাওন, সফিকুল ইসলাম, মুনতাসির রিয়াদ, রেদোয়ান, আসাদুজ্জামান, কাকন, সাজ্জাদ, বায়োজিদ, মঞ্জুরুল ইসলাম, মুনতাসির জুয়েল, সুমন, শরীফ মজুমদার, ছোটন সাহা, আরেফিন, ইউসুফ, বোরহান, রায়হান, তুহিন, মোফাজ্জল হোসেন, রায়হান মোল্লা, সাইফুল ইসলাম, জাহিদ, নাছির মজুমদার, ইয়াছিন, ইব্রাহিম, তানভীর, রাব্বি ও মোহাম্মদ সেলিম মিয়াসহ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।