শিক্ষক সমিতির সম্পত্তি রক্ষায় শিক্ষকদের মানববন্ধন॥ আত্মহুতির হুমকি

  • আপডেট: ০৬:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • ৪৪

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সমিতির সম্পত্তি রক্ষায় মানববন্ধন করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বুধবার বেলা ১১টায় হাজীগঞ্জ বাজারস্থ স্টেশন রোডে অবস্থিত প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির ভবন দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ পেয়ে শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত হন পরে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন।

এ সময় তারাপাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসাইন চৌধুরী।

সদস্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান হাবিব মজুমদার, বলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. মাসুদ হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধনে আদালত, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন শিক্ষকরা।

বক্তারা বলেন, ১৯৬৩ সালে ৩৭৪৫নং দলিলমূলে ক্রয়সূত্রে ২১শতাংশ ভূমির মালিককানা লাভ করে সমিতি। যা বর্তমানে পৌরসভাধীন ২১৩নং মকিমাবাদ মৌজার বিএস খতিয়ান নং- ২১ এর ১৪৪২ দাগে ১৮ শতাংশ ও ১৪৪৬ দাগে ৩ শতাংশ। উল্লেখিত ভূমিতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্মিত দো-তলা বিশিষ্ট ভবনসহ উল্লেখিত ভূমি আমাদের ভোগ দখলে রয়েছে।

তারা অভিযোগ করে বলেন, মূল্যমান সম্পত্তি হওয়ায় আমাদের এই ভূমি দখলের জন্য একশ্রেণির ভূমি খেকো দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। সবশেষ হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ সফিকুল ইসলাম মীর গংরা আমাদের ভূমি দখলে নেওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেন।

ওই মামলায় আমরা ছাম চেয়েছি। কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে তদন্ত ও রিপোর্টও হয়েছে। আমরা ওই রিপোর্টের আপত্তি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছি। এছাড়াও এই সম্পত্তির উপর আমাদের একটি মামলা রয়েছে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে। এ মামলার এখনো নিষ্পপ্তি হয়নি। অথচ সফিকুল ইসলাম মীর গংরা আজ আমাদের দখলীয় সম্পত্তি দখলের জন্য অপচেষ্টা করছেন বলে জানতে পেরেছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের সম্পত্তি রক্ষায় আজ (বুধবার) সমিতির ভবনে আমরা শিক্ষকরা হাজির হয়েছি, মানববন্ধন করছি। এই মানববন্ধনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পত্তি রক্ষায় আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে আদালত, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

তারা বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১ হাজার থেকে ১২ শিক্ষকের কষ্টের টাকায় এ সম্পদ ক্রয় করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে কোন ভূমি দস্যু যদি এ সম্পদ দখল করতে আসে আমরা আত্মহুতি দেবো।

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সদস্য ও প্রধান শিক্ষক মঞ্জিল হোসেন, কামরুন নাহার, হেদায়েত উল্যাহ্, তুহিন হায়দার, আবুল খায়ের খাঁন, খিজির আহমেদ, আব্দুল হক ও জুলফিকার আলী, সহকারী শিক্ষক এমরান হোসেন সুমন, মঞ্জুর আলম, ফারজানা আক্তার, সাইফুল ইসলাম, শহীদুল্লাহ, মঞ্জুর মাওলাসহ শিক্ষক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ দিকে উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ সফিকুল ইসলাম মীরের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে ব্যক্তি বিশেষ বা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে কেন? চৌধুরী পরিবার কোর্টে (আদালত) মামলা করেছেন। এই মামলা জজকোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে রায় হয়েছে। এ রায়ের আলোকে চৌধুরী পরিবার সম্পত্তি বুঝে নিবেন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

শিক্ষক সমিতির সম্পত্তি রক্ষায় শিক্ষকদের মানববন্ধন॥ আত্মহুতির হুমকি

আপডেট: ০৬:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সমিতির সম্পত্তি রক্ষায় মানববন্ধন করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বুধবার বেলা ১১টায় হাজীগঞ্জ বাজারস্থ স্টেশন রোডে অবস্থিত প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির ভবন দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ পেয়ে শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত হন পরে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন।

এ সময় তারাপাল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসাইন চৌধুরী।

সদস্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান হাবিব মজুমদার, বলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. মাসুদ হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধনে আদালত, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন শিক্ষকরা।

বক্তারা বলেন, ১৯৬৩ সালে ৩৭৪৫নং দলিলমূলে ক্রয়সূত্রে ২১শতাংশ ভূমির মালিককানা লাভ করে সমিতি। যা বর্তমানে পৌরসভাধীন ২১৩নং মকিমাবাদ মৌজার বিএস খতিয়ান নং- ২১ এর ১৪৪২ দাগে ১৮ শতাংশ ও ১৪৪৬ দাগে ৩ শতাংশ। উল্লেখিত ভূমিতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্মিত দো-তলা বিশিষ্ট ভবনসহ উল্লেখিত ভূমি আমাদের ভোগ দখলে রয়েছে।

তারা অভিযোগ করে বলেন, মূল্যমান সম্পত্তি হওয়ায় আমাদের এই ভূমি দখলের জন্য একশ্রেণির ভূমি খেকো দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। সবশেষ হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ সফিকুল ইসলাম মীর গংরা আমাদের ভূমি দখলে নেওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেন।

ওই মামলায় আমরা ছাম চেয়েছি। কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে তদন্ত ও রিপোর্টও হয়েছে। আমরা ওই রিপোর্টের আপত্তি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছি। এছাড়াও এই সম্পত্তির উপর আমাদের একটি মামলা রয়েছে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে। এ মামলার এখনো নিষ্পপ্তি হয়নি। অথচ সফিকুল ইসলাম মীর গংরা আজ আমাদের দখলীয় সম্পত্তি দখলের জন্য অপচেষ্টা করছেন বলে জানতে পেরেছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের সম্পত্তি রক্ষায় আজ (বুধবার) সমিতির ভবনে আমরা শিক্ষকরা হাজির হয়েছি, মানববন্ধন করছি। এই মানববন্ধনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পত্তি রক্ষায় আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে আদালত, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

তারা বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১ হাজার থেকে ১২ শিক্ষকের কষ্টের টাকায় এ সম্পদ ক্রয় করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে কোন ভূমি দস্যু যদি এ সম্পদ দখল করতে আসে আমরা আত্মহুতি দেবো।

মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সদস্য ও প্রধান শিক্ষক মঞ্জিল হোসেন, কামরুন নাহার, হেদায়েত উল্যাহ্, তুহিন হায়দার, আবুল খায়ের খাঁন, খিজির আহমেদ, আব্দুল হক ও জুলফিকার আলী, সহকারী শিক্ষক এমরান হোসেন সুমন, মঞ্জুর আলম, ফারজানা আক্তার, সাইফুল ইসলাম, শহীদুল্লাহ, মঞ্জুর মাওলাসহ শিক্ষক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ দিকে উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ সফিকুল ইসলাম মীরের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে ব্যক্তি বিশেষ বা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে কেন? চৌধুরী পরিবার কোর্টে (আদালত) মামলা করেছেন। এই মামলা জজকোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে রায় হয়েছে। এ রায়ের আলোকে চৌধুরী পরিবার সম্পত্তি বুঝে নিবেন।