শাহরাস্তিতে জালিয়াতি করে ভূমি হস্তান্তর ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ

  • আপডেট: ০৯:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ২৫

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রতারণা করে আম-মোক্তার নামা সৃজনের মাধ্যমে ভুমির মালিকানা হস্তান্তর ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানা ও আদালতে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

জানা যায়, শাহরাস্তি পৌরসভার নিজমেহার (৭ নং ওয়ার্ড) গ্রামের সতীন্দ্র মোহন দাসের মৃত্যুর পর তার বৃদ্ধ স্ত্রী ও পুত্র পরান দাস জীবিকার প্রয়োজনে চট্টগ্রামে বসবাস করে আসছেন। গ্রামের বাড়িতে সম্পদ দেখভালের জন্য প্রতি ২/৩ মাস পর তারা বাড়িতে আসতেন। পরান দাস জানান, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ওই গ্রামের মৃতঃ অনিল কৃষ্ণ ঘোষের পুত্র প্রবীর ঘোষ সে ও তার মাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই আম-মোক্তারনামা দলিল সৃজন করে। প্রতারণার বিষয়টি তারা জানতে পেরে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের এবং পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞার মামলা করেন। বিষয়টি সুরাহা না হতেই প্রবীর ঘোষ পরানপুর গ্রামের সোহেল ও নিজমেহার গ্রামের আব্দুল মমিনের কাছে সাড়ে ১২ শতাংশ জায়গা বিক্রয় করে দেয়। প্রবীর ঘোষ, সোহেল ও আব্দুল মমিন বর্তমানে উক্ত জায়গা দখলের জন্য চেষ্টা করে আসছে। বর্তমানে পরান দাস ও তার মা নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

এ বিষয়ে প্রবীর ঘোষের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি জমি হস্তান্তরের পর পরান দাসেরা মামলা ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি।

জমির ক্রেতা মোঃ সোহেল জানান, আমি প্রবীর ঘোষ থেকে জমি ক্রয় করেছি। উক্ত জায়গা আমার নামে খারিজ খতিয়ান করা আছে।আমার জায়গা আমি যেকোন সময় দখলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

শাহরাস্তিতে জালিয়াতি করে ভূমি হস্তান্তর ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ

আপডেট: ০৯:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রতারণা করে আম-মোক্তার নামা সৃজনের মাধ্যমে ভুমির মালিকানা হস্তান্তর ও দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানা ও আদালতে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

জানা যায়, শাহরাস্তি পৌরসভার নিজমেহার (৭ নং ওয়ার্ড) গ্রামের সতীন্দ্র মোহন দাসের মৃত্যুর পর তার বৃদ্ধ স্ত্রী ও পুত্র পরান দাস জীবিকার প্রয়োজনে চট্টগ্রামে বসবাস করে আসছেন। গ্রামের বাড়িতে সম্পদ দেখভালের জন্য প্রতি ২/৩ মাস পর তারা বাড়িতে আসতেন। পরান দাস জানান, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ওই গ্রামের মৃতঃ অনিল কৃষ্ণ ঘোষের পুত্র প্রবীর ঘোষ সে ও তার মাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই আম-মোক্তারনামা দলিল সৃজন করে। প্রতারণার বিষয়টি তারা জানতে পেরে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের এবং পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞার মামলা করেন। বিষয়টি সুরাহা না হতেই প্রবীর ঘোষ পরানপুর গ্রামের সোহেল ও নিজমেহার গ্রামের আব্দুল মমিনের কাছে সাড়ে ১২ শতাংশ জায়গা বিক্রয় করে দেয়। প্রবীর ঘোষ, সোহেল ও আব্দুল মমিন বর্তমানে উক্ত জায়গা দখলের জন্য চেষ্টা করে আসছে। বর্তমানে পরান দাস ও তার মা নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

এ বিষয়ে প্রবীর ঘোষের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি জমি হস্তান্তরের পর পরান দাসেরা মামলা ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি।

জমির ক্রেতা মোঃ সোহেল জানান, আমি প্রবীর ঘোষ থেকে জমি ক্রয় করেছি। উক্ত জায়গা আমার নামে খারিজ খতিয়ান করা আছে।আমার জায়গা আমি যেকোন সময় দখলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।