টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে নিচ্ছে শাহরাস্তির বেরনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

  • আপডেট: ১২:০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২
  • ২৯

মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া:

টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে নিচ্ছে চাঁদপুরের শাহরাস্তির বেরনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম খলিল।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থী অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম খলিলকে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে তালা বন্ধ করে আটকে রাখে।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বেরনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং হোসাইন আহম্মেদ সড়ক এলাকায় মালিবাড়ি মসজিদ রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। ওইদিন ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ মেহের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে করোণার ভ্যাকসিন দিতে অটো যোগে আসার পথে উপজেলার দেবকরা মালিবাড়ী মসজিদ সংলগ্ন হোসাইন আহম্মেদ সড়ক এলাকায় ওই ছাত্রছাত্রীরা অটো উল্টে আহত হয়।

পরে এলাকাবাসী আহত ছাত্র ছাত্রীদেরকে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে চিকিৎসা দেয়। আহত শিক্ষার্থীরা হচ্ছে, তারেক মনোয়ার, আসমা আক্তার ৭ম-শ্রেনী, শাওন ৭ম-শ্রেনী, আপিপা ৭ম-শ্রেনী, শিবপুর ফারিয়া আক্তার ৭ম-শ্রেনী আহত হয়।

এ প্রসঙ্গে আহত শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানায়, এই দুর্ঘটনার সংবাদ আহত ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকরা শুনে বিক্ষোভে ফেটে প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিমকে তার অফিস কক্ষে আটক করে রাখে।

ওই সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি থানার ওসি আব্দুল মান্নান প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেন। আহত শিক্ষার্থীরা জানায় ওই সময় অটো ড্রাইভার মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। অন্য আরেকটি সূত্র জানায় প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম তার নিজ এলাকা থেকে অটো সংগ্রহ করে প্রতিটিতে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্র-ছাত্রী উঠিয়ে টিকা গ্রহণের জন্য পাঠায় ।

এতে অটোটি ওভার লোড হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। টিকা গ্রহণের জন্য তিনি প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী থেকে ১৫০-১৬০ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক এ সংক্রান্ত ১৫০ টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন ।

এছাড়া অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ করে বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা কর্তৃত্ব বাদ পরিচালনা পর্ষদ দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনার অভিযোগ এনে স্লোগান দিতে থাকেন। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহসান উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অন্য একটি সূত্র জানায়, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দেওয়া ভ্যাকসিন ফাইজার ও মর্ডানার এই টিকা সংরক্ষণের মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ফ্রিজিং ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। সেজন্য নিজমেহার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ব্যবস্থা তৈরির নেপথ্য সমগ্র উপজেলায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে অর্থ আদায়ের এ ঘটনা ঘটে চলছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নাসির উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের যে টিকা প্রদান করা হয় সেটি মর্ডানা এবং ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। অন্য একটি সুত্র মতে
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্কুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদেরক উপজেলা সদরে পাঠানো হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য এই ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতি ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে আসা যাওয়ার ভাড়া সহকারে একশত পঞ্চাশ টাকা করে টাকা উত্তোলন করেছেন প্রধান শিক্ষক তাদেরকে সদরে পাঠানোর সময় অটোতে করে তাদেরকে পাঠানো হয়েছে ১টি অটোতে ১০/১২ জন করে ছাত্র ছাত্রীকে উঠানো হয়েছে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে মেহের কালীবাড়ী টু খিলাবাজার রাস্তার মালীবাড়ী নামকস্থানে একটি অটো উল্টে গেলে আট জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়। আহতদের স্থানীয় জনগণ উদ্ধার করে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শাহারাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে ঘটনাস্থলে আসেন এস আই মাইনুদ্দিন ও এসআই সৈকত দাস গুপ্ত। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মান্নান ও প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী হুমায়ুন কবির হাসপাতলে আহতদের দেখতে যান।

বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ বেরনাইয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয় এবং প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে, পরে শাহরাস্তি থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে, শাহরাস্তি থানার পুলিশ অটো সহ অটোচালককে আটক করে।

এদিকে অভিভাবকদের দাবি আমরা ১৬০ টাকা করে প্রধান শিক্ষককে দিয়েছি আমাদের সন্তানরা ভ্যাকসিন দিতে যাবে ভালো গাড়ি তে কিন্তু প্রধান শিক্ষক ভালো গাড়ি না নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১২ টি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করেছেন অটোরিকশা ১০০০ টাকা করে প্রতি গাড়ি পাঁচ-ছয় বার করে টিব মারবে।

টাকার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ১৫০ টাকা করে আমরা তাদের কাছ থেকে নিয়েছি ১০০ টাকা তাদের যাতায়াত ভাড়া, ১০০ টাকা দিয়ে মাইক্রো করে যাওয়া আসা সম্ভব না বাকি ৫০ টাকা অফিস খরচ।

এতে শিক্ষার্থী অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম খলিলকে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে তালা বন্ধ করে আটকে রাখে ।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে নিচ্ছে শাহরাস্তির বেরনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

আপডেট: ১২:০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০২২

মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া:

টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে নিচ্ছে চাঁদপুরের শাহরাস্তির বেরনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম খলিল।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থী অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম খলিলকে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে তালা বন্ধ করে আটকে রাখে।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বেরনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং হোসাইন আহম্মেদ সড়ক এলাকায় মালিবাড়ি মসজিদ রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। ওইদিন ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ মেহের মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে করোণার ভ্যাকসিন দিতে অটো যোগে আসার পথে উপজেলার দেবকরা মালিবাড়ী মসজিদ সংলগ্ন হোসাইন আহম্মেদ সড়ক এলাকায় ওই ছাত্রছাত্রীরা অটো উল্টে আহত হয়।

পরে এলাকাবাসী আহত ছাত্র ছাত্রীদেরকে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে চিকিৎসা দেয়। আহত শিক্ষার্থীরা হচ্ছে, তারেক মনোয়ার, আসমা আক্তার ৭ম-শ্রেনী, শাওন ৭ম-শ্রেনী, আপিপা ৭ম-শ্রেনী, শিবপুর ফারিয়া আক্তার ৭ম-শ্রেনী আহত হয়।

এ প্রসঙ্গে আহত শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানায়, এই দুর্ঘটনার সংবাদ আহত ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকরা শুনে বিক্ষোভে ফেটে প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিমকে তার অফিস কক্ষে আটক করে রাখে।

ওই সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি থানার ওসি আব্দুল মান্নান প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেন। আহত শিক্ষার্থীরা জানায় ওই সময় অটো ড্রাইভার মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। অন্য আরেকটি সূত্র জানায় প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম তার নিজ এলাকা থেকে অটো সংগ্রহ করে প্রতিটিতে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্র-ছাত্রী উঠিয়ে টিকা গ্রহণের জন্য পাঠায় ।

এতে অটোটি ওভার লোড হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। টিকা গ্রহণের জন্য তিনি প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী থেকে ১৫০-১৬০ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক এ সংক্রান্ত ১৫০ টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন ।

এছাড়া অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ করে বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা কর্তৃত্ব বাদ পরিচালনা পর্ষদ দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনার অভিযোগ এনে স্লোগান দিতে থাকেন। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আহসান উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। অন্য একটি সূত্র জানায়, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দেওয়া ভ্যাকসিন ফাইজার ও মর্ডানার এই টিকা সংরক্ষণের মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ফ্রিজিং ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। সেজন্য নিজমেহার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ব্যবস্থা তৈরির নেপথ্য সমগ্র উপজেলায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে অর্থ আদায়ের এ ঘটনা ঘটে চলছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নাসির উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের যে টিকা প্রদান করা হয় সেটি মর্ডানা এবং ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। অন্য একটি সুত্র মতে
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্কুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদেরক উপজেলা সদরে পাঠানো হয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য এই ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতি ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে আসা যাওয়ার ভাড়া সহকারে একশত পঞ্চাশ টাকা করে টাকা উত্তোলন করেছেন প্রধান শিক্ষক তাদেরকে সদরে পাঠানোর সময় অটোতে করে তাদেরকে পাঠানো হয়েছে ১টি অটোতে ১০/১২ জন করে ছাত্র ছাত্রীকে উঠানো হয়েছে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে মেহের কালীবাড়ী টু খিলাবাজার রাস্তার মালীবাড়ী নামকস্থানে একটি অটো উল্টে গেলে আট জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়। আহতদের স্থানীয় জনগণ উদ্ধার করে শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শাহারাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে ঘটনাস্থলে আসেন এস আই মাইনুদ্দিন ও এসআই সৈকত দাস গুপ্ত। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মান্নান ও প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী হুমায়ুন কবির হাসপাতলে আহতদের দেখতে যান।

বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ বেরনাইয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয় এবং প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে, পরে শাহরাস্তি থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে, শাহরাস্তি থানার পুলিশ অটো সহ অটোচালককে আটক করে।

এদিকে অভিভাবকদের দাবি আমরা ১৬০ টাকা করে প্রধান শিক্ষককে দিয়েছি আমাদের সন্তানরা ভ্যাকসিন দিতে যাবে ভালো গাড়ি তে কিন্তু প্রধান শিক্ষক ভালো গাড়ি না নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ১২ টি সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করেছেন অটোরিকশা ১০০০ টাকা করে প্রতি গাড়ি পাঁচ-ছয় বার করে টিব মারবে।

টাকার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ১৫০ টাকা করে আমরা তাদের কাছ থেকে নিয়েছি ১০০ টাকা তাদের যাতায়াত ভাড়া, ১০০ টাকা দিয়ে মাইক্রো করে যাওয়া আসা সম্ভব না বাকি ৫০ টাকা অফিস খরচ।

এতে শিক্ষার্থী অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইব্রাহিম খলিলকে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে তালা বন্ধ করে আটকে রাখে ।