হাজীগঞ্জ, ৩১ মে, রবিবার:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে পৌরসভার ৩জন ব্যবসায়ী মৃত্যুবরণ করেছেন। চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে বিকেলে আব্দুল কাদের পাটওয়ারী (৬৫) দুপর ১২টায় রফিকুল ইসলম (৫৫) নামে নিজ বাড়ীতে এবং হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবুল কাশেম নামের একজন মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত ৩ জনের বাড়ীই হাজীগঞ্জ পৌরসভায়।
রোববার এ ৩ পরিচিত মূখ মৃত্যুবরণ করেন। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, করোনা উপসর্গ নিয়ে দুপর ১২টার টার পরে মৃত্যুবরণ করেন রফিকুল ইসলাম। তিনি গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা জ¦রে ভূগছিলেন। এর মধ্যে তিনি সুস্থ্যও হয়েছেন। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আবারো জ্বর হয়। সর্বশেষ রবিবার (৩১ মে) সকালে তিনি নিজেই হাজীগঞ্জ বিসমিল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে ব্ল্যাড, সুগারসহ কয়েকটি টেস্ট করতে দিয়ে আসনে। টেস্টের ফলাফল দিতে দেরী হওয়ায় তিনি বাড়ী চলে যান। বাড়ীতে গিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
তিনি ইসলামী শাসন আন্দোলন হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার একজন কর্মী ছিলেন। তার বাড়ী উপজেলার পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ড খাটরা বিলওয়াই গ্রামে। হাজীগঞ্জ বাজারের আল আকসা টেইলার্সের মালিক ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্যগুণগ্রাহী রেখে যান।
অপরদিকে বিকেল ৩টার সময় একই উপজেলার মকিমাবাদ এলাকা থেকে আব্দুল কাদের পাটওয়ারী (৬৫) নামের ব্যাক্তি একই উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। তাকে অক্সিজেন দেয়ার পরপরই তিনি মারা যান। তিনি মাত্র ১০ মিনিট আইসোলেশনে ছিলেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হবে। তিনি হাজীগঞ্জের প্রাক্তণ গ্রীণ লাইব্রেরীর মালিক ছিলেন
আইসোলেশন ইউনিটে মৃত ব্যাক্তির তথ্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল নিশ্চিত করেন।
অপর দিকে সন্ধ্যা ৭টার সময় হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি জ¦র, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে যাওয়ার মাত্র মিনিটের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার পর অক্সিজেন দেয়ার পূর্বেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার ডায়াবেটিকসও বেশী ছিল।
নিহত মো. আবুল কাশেম হাজীগঞ্জ পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি হাজীগঞ্জ তিশা কাউন্টারে চাকুরি করতেন।