অনলাইন ডেস্ক:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫২ জনে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৪৯৭ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলো ৫৯১৩ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, মোট ৪ হাজার ১৯২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮১২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ডা. নাসিমা আরও জানান, মৃতদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ এবং এক জন নারী। ৫ জন ঢাকার ভেতরে এবং একজন সিলেট ও এক জন রাজশাহীতে। ৫ জনের বয়স ষাট বছরের বেশি। এক জনের বয়স ৪০ থেকে ৫১ বছরের মধ্যে এবং একজন শিশু যার বয়স ১০ বছরের নিচে।
এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৯ জন। এ নিয়ে মোট ১৩১ জন সুস্থ্য হয়েছেন বলে জানান তিনি।
এই চিকিৎসক জানান, এখনও পর্যন্ত ঢাকা শহর ও ঢাকা জেলাতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এখনো পর্যন্ত ৬০টি জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে।
যে চারটি জেলায় এখনও কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া যায়নি সেগুলো হলো- খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, সাতক্ষীরা ও নাটোর।
এর আগে নাটোরে যে এক জন আক্রান্তের কথা বলে হলেও তিনি আসলে ঢাকার বাসিন্দা বলে জানানো হয়।
ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেসব এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেগুলো হলো যথাক্রমে রাজারবাগ, যাত্রাবাড়ী, লালবাগ, মোহাম্মদপুর, বংশাল, মহাখালী এবং মিটফোর্ডে একই সংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তি আছে। মিরপুর-১৪ এবং তেজগাঁ এলাকায় একই সংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তি আছে।
এছাড়া ওয়ারী, শাহবাগ, কাকরাইল এবং উত্তরায়ও একই সংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তি আছে। এসব এলাকাতেই এখন সর্বাধিক পরিমাণ আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।