ক্যাচ মিসের মহড়ায় বাংলাদেশের হার

  • আপডেট: ০৩:২৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৪

ক্রীড়া ডেস্ক:

ক্যাচ মিসের মহড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ব্যাট-বলে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে না পারায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে হেরে যায় সফরকারী বাংলাদেশ। ১৪১ রানের মামুলি স্কোর নিয়েও শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করেছে বাংলাদেশ।

শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫ রান। সৌম্য সরকারের করা ওভারে প্রথম বলে ডাবল রান নেন শোয়েব মালিক।পরের বলে নেন সিঙ্গেল।

তৃতীয় বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজোয়ান। কিন্তু মিঠুন ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি। সেই সময় ক্যাচটি নিতে পারলে ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন হলেও হতে পারত।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুটা ভালোই করেছিল। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে পারেননি কেউ। সেট হয়ে রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হন দুই ওপেনার তামিম-নাঈমও। তাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বেশি রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে ১৪২ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারীরা।

শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভারের ৩ বল আগে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিক পাকিস্তান। দলের জয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন শোয়েব মালিক।

লাহোরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।ব্যাটিংয়ে নেমে স্লোথ গতিতে ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। প্রথম ১১ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ রান করেন তারা। এরপর ৫৭ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল।

৩৪ বল খেলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৩৯ রান করে ফেরেন দেশসেরা ওপেনার তামিম। ১৩ বলে মাত্র ১২ রান করে ফেরেন ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা জাতীয় দলের ওপেনার লিটন কুমার দাস। লিটন আউট হওয়ার পর কোনো রান যোগ করার আগেই সাজঘরে ফেরেন নাঈম শেখ। দলীয় ৯৮ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তিনি। তার আগে ৪১ বলে ৩টি চার ও দুই ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন নাইম।

১০ বলে মাত্র ৯ রানে ফেরেন আফিফ হোসেন। ৫ বলে ৭ রান করে ফেরেন সৌম্য সরকার। ১৪ বলে ১৯ আর ৩ বলে ৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ মিঠুন। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪১ রান।

১৪২ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বিপদে পড়েন পাকিস্তানে অধিনায়ক বাবর আজম। পাকিস্তান সেরা এ ব্যাটসম্যানকে শুরুতেই সাজঘরে ফেরান শফিউল ইসলাম। শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে ওঠার আগেই পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় শূন্য রানে ফেরেন বাবর আজম।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করেন মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ককে প্যাভিলিয়নে ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। ৫ ওভারে দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন হাফিজ।

পাকিস্তান শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। জাতীয় দলের এ স্পিনারের বলে বিভ্রান্ত পাকিস্তানের তরুণ ওপেনার। বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৩২ বল খেলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করে ফেরেন আহসান আলী। ১১.৫ ওভারে দলীয় ৮১ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে শোয়েব মালিকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৪৬ রানে জুটি। এরপর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছেদেন শোয়েব মালিক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪১/৫ (নাঈম ৪৩, তামিম ৩৯, মাহমুদউল্লাহ ১৯*, লিটন ১২, আফিফ ৯, সৌম্য ৭, মিঠুন ৫*)।

পাকিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১৪২/৫ (শোয়েব মালিক ৫৮*, আহসান আলী ৩৬, মোহাম্মদ হাফিজ ১৭, ইফতেখার আহমেদ ১৬, ইমাদ ওয়াসিম ৬, মোহাম্মদ রিজোয়ান ৫)।

ফল: পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

ক্যাচ মিসের মহড়ায় বাংলাদেশের হার

আপডেট: ০৩:২৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২০

ক্রীড়া ডেস্ক:

ক্যাচ মিসের মহড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ব্যাট-বলে প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে না পারায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে হেরে যায় সফরকারী বাংলাদেশ। ১৪১ রানের মামুলি স্কোর নিয়েও শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করেছে বাংলাদেশ।

শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫ রান। সৌম্য সরকারের করা ওভারে প্রথম বলে ডাবল রান নেন শোয়েব মালিক।পরের বলে নেন সিঙ্গেল।

তৃতীয় বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজোয়ান। কিন্তু মিঠুন ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারেননি। সেই সময় ক্যাচটি নিতে পারলে ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন হলেও হতে পারত।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুটা ভালোই করেছিল। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে পারেননি কেউ। সেট হয়ে রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হন দুই ওপেনার তামিম-নাঈমও। তাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বেশি রান তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে ১৪২ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারীরা।

শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভারের ৩ বল আগে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিক পাকিস্তান। দলের জয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন শোয়েব মালিক।

লাহোরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।ব্যাটিংয়ে নেমে স্লোথ গতিতে ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। প্রথম ১১ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ রান করেন তারা। এরপর ৫৭ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল।

৩৪ বল খেলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৩৯ রান করে ফেরেন দেশসেরা ওপেনার তামিম। ১৩ বলে মাত্র ১২ রান করে ফেরেন ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা জাতীয় দলের ওপেনার লিটন কুমার দাস। লিটন আউট হওয়ার পর কোনো রান যোগ করার আগেই সাজঘরে ফেরেন নাঈম শেখ। দলীয় ৯৮ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তিনি। তার আগে ৪১ বলে ৩টি চার ও দুই ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন নাইম।

১০ বলে মাত্র ৯ রানে ফেরেন আফিফ হোসেন। ৫ বলে ৭ রান করে ফেরেন সৌম্য সরকার। ১৪ বলে ১৯ আর ৩ বলে ৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ মিঠুন। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪১ রান।

১৪২ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বিপদে পড়েন পাকিস্তানে অধিনায়ক বাবর আজম। পাকিস্তান সেরা এ ব্যাটসম্যানকে শুরুতেই সাজঘরে ফেরান শফিউল ইসলাম। শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে ওঠার আগেই পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় শূন্য রানে ফেরেন বাবর আজম।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করেন মোহাম্মদ হাফিজ। পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ককে প্যাভিলিয়নে ফেরান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ। ৫ ওভারে দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন হাফিজ।

পাকিস্তান শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। জাতীয় দলের এ স্পিনারের বলে বিভ্রান্ত পাকিস্তানের তরুণ ওপেনার। বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৩২ বল খেলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করে ফেরেন আহসান আলী। ১১.৫ ওভারে দলীয় ৮১ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে শোয়েব মালিকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৪৬ রানে জুটি। এরপর দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছেদেন শোয়েব মালিক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪১/৫ (নাঈম ৪৩, তামিম ৩৯, মাহমুদউল্লাহ ১৯*, লিটন ১২, আফিফ ৯, সৌম্য ৭, মিঠুন ৫*)।

পাকিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১৪২/৫ (শোয়েব মালিক ৫৮*, আহসান আলী ৩৬, মোহাম্মদ হাফিজ ১৭, ইফতেখার আহমেদ ১৬, ইমাদ ওয়াসিম ৬, মোহাম্মদ রিজোয়ান ৫)।

ফল: পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।