বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের সভায় যুবলীগের হামলা॥পুলিশ সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশত

  • আপডেট: ১১:১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০
  • ২৩

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি॥
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশ সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলা ভাণ্ডারী মহল এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর ও অবমাননা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা যুব লীগের একটি মিছিল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের র‌্যালী নিয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সভাস্থলে প্রবেশ করে হামলা করে। পুলিশ মিছিলের সামনে থাকলেও তারা বাঁধা দিয়ে ব্যর্থ হয়। এসময় ছবি তুলতে গিয়ে আ: মমিন গাজী নামে এক সাংবাদিক হামলার শিকার হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টার সময় এএসআই মঞ্জুর আলম, এএসআই দিদার হোসেন, কনস্টেবল রাশেদ আহত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সভা চলাকালে যুব লীগের নামধারীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রধান মন্ত্রীর ছবিসহ আওয়ামী লীগ কার্যালয় ব্যাপক ভাংচুর করে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননা মেনে নেয়া যায় না।

এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান আহমেদ রিপন, যুব লীগের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক মহিউদ্দিন ইরান, আওয়ামী লীগ নেতা নুর হোসেন, মোবাশ্বেরা বেগম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইলিয়াছ বেগ, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়।

সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূইয়া জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ন্যাক্কার জনক।পুলিশের ভুমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।

উপজেলা যুব লীগের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে বর্তমান এমপি ,উপজেলা যুব লীগসহ কাউকেই দাওয়াত দেয়া হয়নি। তাছাড়া র‌্যালী নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মিছিলে ইট মারায় ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নেতাকর্মীরা সেখানে প্রবেশ করে।

ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, যুবলীগের মিছিলটি পুলিশ বেষ্টনী মধ্যে থাকলেও তারা বেষ্টনী ভেদ করে হামলা করে।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, আজকের এই আনন্দময় দনে এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

৮ মাসে হাফেজ হলেন ৮ বছরের শিশু

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের সভায় যুবলীগের হামলা॥পুলিশ সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশত

আপডেট: ১১:১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২০

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি॥
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং পুলিশ সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলা ভাণ্ডারী মহল এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর ও অবমাননা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা যুব লীগের একটি মিছিল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের র‌্যালী নিয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সভাস্থলে প্রবেশ করে হামলা করে। পুলিশ মিছিলের সামনে থাকলেও তারা বাঁধা দিয়ে ব্যর্থ হয়। এসময় ছবি তুলতে গিয়ে আ: মমিন গাজী নামে এক সাংবাদিক হামলার শিকার হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টার সময় এএসআই মঞ্জুর আলম, এএসআই দিদার হোসেন, কনস্টেবল রাশেদ আহত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সভা চলাকালে যুব লীগের নামধারীরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রধান মন্ত্রীর ছবিসহ আওয়ামী লীগ কার্যালয় ব্যাপক ভাংচুর করে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অবমাননা মেনে নেয়া যায় না।

এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান আহমেদ রিপন, যুব লীগের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক মহিউদ্দিন ইরান, আওয়ামী লীগ নেতা নুর হোসেন, মোবাশ্বেরা বেগম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইলিয়াছ বেগ, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়।

সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূইয়া জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ন্যাক্কার জনক।পুলিশের ভুমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।

উপজেলা যুব লীগের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন জানান, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে বর্তমান এমপি ,উপজেলা যুব লীগসহ কাউকেই দাওয়াত দেয়া হয়নি। তাছাড়া র‌্যালী নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মিছিলে ইট মারায় ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নেতাকর্মীরা সেখানে প্রবেশ করে।

ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, যুবলীগের মিছিলটি পুলিশ বেষ্টনী মধ্যে থাকলেও তারা বেষ্টনী ভেদ করে হামলা করে।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, আজকের এই আনন্দময় দনে এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি।