ক্রীড়া ডেস্ক:
নামি দামী তারকাদের পেছনে ফেলে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো ভীন দেশের কথিত ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার। চলতি বছরেই জিতেছিল ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ পুরস্কার ।
সোমবার প্যারিসে জমকালো এক অনুষ্ঠানে তার হাতে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ –এর পুরস্কার তুলে দেন গতবারের বিজয়ী লুকা মদ্রিচ।
বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের ভোটে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো পুরস্কারটি জিতলেন আর্জেন্টাইন তারকা। এতদিন সমান পাঁচবার করে পুরস্কারটি জয়ের রেকর্ড ছিল মেসি ও রোনালদোর। এবার সেখানে রোনালদোকে পেছনে ফেলে সামনের কাতারে এগিয়ে গেলেন বার্সেলোনা অধিনায়ক।
এমন অর্জনের পর প্রতিক্রিয়ায় সতীর্থদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসব সাংবাদিকরা আমাকে ভোট দিয়েছেন এবং চেয়েছেন যে আমি এই পুরস্কার জিতি, তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। আমার সতীর্থদের অনেক অনেক ধন্যবাদ যারা সত্যি এই পুরস্কার জয়ে অনেক বেশি অবদান রেখেছে। এটা অবিশ্বাস্য, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ব্যালন ডি’অর পুরস্কার কার ঝুলিতে জমা পড়বে এটা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ ছিল না। বর্ষসেরা ফুটবলারের তকমা কি এবার মেসির নাকি সিআর সেভেনের! নাকি তাদের থেকে পুরস্কারটি কেড়ে নেবেন ডাচ তারকা ফন ডাইক!
এসব প্রশ্নের অঙ্ক কষেছিলেন সমর্থকরা। ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের প্রার্থীদের পারফরম্যান্স নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে মেতেছিলেন কেউ কেউ।
তবে বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে বিষয়টিকে এত কঠিনভাবে নিয়েছিলেন না। চোখ বন্ধ করেই তিনি লিওনেল মেসির হাতে এবারের ব্যালন ডি’অর ট্রফিটা দেখছিলেন।
এ নিয়ে প্রশ্ন ছুড়তেই ভালভার্দে বলেন, মেসি ছাড়া আবার কে? অবশেষে তার সেই ভাবনাই সত্যি হল।
বরাবরের মতো গত মৌসুমেও বার্সেলোনাকে লা লিগা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মেসি। কাতালান ক্লাবটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে ও কোপা দেল রের ফাইনালে ওঠাতেও বড় অবদান ছিল আর্জেন্টাইন তারকার।
ক্লাব পর্যায়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে আরও বেশি উজ্জ্বল ছিলেন ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩৬ গোল করে একই সঙ্গে জিতে নেন পিচিচি ট্রফি ও ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে করেন সর্বোচ্চ ১২ গোল। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে গেল মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলে ৫৪ গোল করেন মেসি।
এর আগে ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে এই ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন ফুটবল জাদুকর।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর এ পুরস্কারের জন্য ৩০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। চূড়ান্ত তালিকায় যে তিনজনের নাম এসেছিল তারা হলেন- লিওনেল মেসি, ভার্জিল ফন ডাইক ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।