মতলব উত্তরে আগুনে বসতঘর পুড়ে ৩ লাখ টাকা ক্ষতি

  • আপডেট: ০৪:২২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৬

মতলব উত্তর প্রতিনিধি:
মতলব উত্তর উপজেলার সুলাতানাবাদ ইউনিয়নের উত্তর টরকী গ্রামে বুধবার দিনগত রাত আনুমানিক ২টায় আগুন লেগে হোসেন সরকারের বসতঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ হোসেন সরকার। দিনাতিপাত করার মত একটি সুতাও রইল না। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হোসেনের চৌচালা ঘরটি পুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। শুধু পালাগুলো দাঁড়িয়ে আছে। ঘরের সব আসবাবপত্র, চাউল, পোষাকসহ ঘরে থাকা সব কিছুই পুড়ে ছাঁই হয়ে পড়ে আছে। বাঁচার কোন উপায়ন্তর খুঁজে পাচ্ছে না পরিবারটি। কান্না আর হতাশা দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে। জানা গেল, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই পুরো ঘর পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।
হোসেনের স্ত্রী রাহিমা আক্তার বলেন, আমার ৩ শিশু সন্তান রাকিবুল হাসান, সাব্বির হোসেন ও খিজির হায়াতকে নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ২টায় আগুনের দাউ দাউ শব্দ শুনে ঘুম ভাঙ্গে। পরে তারাহুড়ো করে শিশু সন্তান নিয়ে ঘর থেকে কোন মতে বের হই। মহুর্তেই পুড়ে গেলা পুরো ঘরটি। তিনি আরও বলেন, ঘরের উত্তর পাশের বারান্দা থেকে আগুনের সূত্র হয়েছে। ঘরে থাকা ৪ ড্রাম ভর্তি চাউল ছিল, দুইটি খাট, ডাইনিং টেবিল, সোফা সেট, ফ্যান, সোকেস, গ্যাসের চুলা সবকিছু মুহুর্তেই জ¦লে পুড়ে শেষ হয়ে গেল। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাঁচার জন্য সরকারের কাছে অনুদান দাবী করেন তিনি।
হোসেন সরকার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জে ছোট একটি চাকুরী করি। খবর পেয়ে সকালে বাড়িতে এসে দেখি এই কান্ড। আমার আর কিছুই রইল না।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটিকে উপজেলা প্রাশাসনের পক্ষ থেকে ঢেউটিন’সহ সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

মতলব উত্তরে আগুনে বসতঘর পুড়ে ৩ লাখ টাকা ক্ষতি

আপডেট: ০৪:২২:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০১৯

মতলব উত্তর প্রতিনিধি:
মতলব উত্তর উপজেলার সুলাতানাবাদ ইউনিয়নের উত্তর টরকী গ্রামে বুধবার দিনগত রাত আনুমানিক ২টায় আগুন লেগে হোসেন সরকারের বসতঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ হোসেন সরকার। দিনাতিপাত করার মত একটি সুতাও রইল না। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হোসেনের চৌচালা ঘরটি পুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। শুধু পালাগুলো দাঁড়িয়ে আছে। ঘরের সব আসবাবপত্র, চাউল, পোষাকসহ ঘরে থাকা সব কিছুই পুড়ে ছাঁই হয়ে পড়ে আছে। বাঁচার কোন উপায়ন্তর খুঁজে পাচ্ছে না পরিবারটি। কান্না আর হতাশা দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে। জানা গেল, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই পুরো ঘর পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।
হোসেনের স্ত্রী রাহিমা আক্তার বলেন, আমার ৩ শিশু সন্তান রাকিবুল হাসান, সাব্বির হোসেন ও খিজির হায়াতকে নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ২টায় আগুনের দাউ দাউ শব্দ শুনে ঘুম ভাঙ্গে। পরে তারাহুড়ো করে শিশু সন্তান নিয়ে ঘর থেকে কোন মতে বের হই। মহুর্তেই পুড়ে গেলা পুরো ঘরটি। তিনি আরও বলেন, ঘরের উত্তর পাশের বারান্দা থেকে আগুনের সূত্র হয়েছে। ঘরে থাকা ৪ ড্রাম ভর্তি চাউল ছিল, দুইটি খাট, ডাইনিং টেবিল, সোফা সেট, ফ্যান, সোকেস, গ্যাসের চুলা সবকিছু মুহুর্তেই জ¦লে পুড়ে শেষ হয়ে গেল। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাঁচার জন্য সরকারের কাছে অনুদান দাবী করেন তিনি।
হোসেন সরকার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জে ছোট একটি চাকুরী করি। খবর পেয়ে সকালে বাড়িতে এসে দেখি এই কান্ড। আমার আর কিছুই রইল না।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটিকে উপজেলা প্রাশাসনের পক্ষ থেকে ঢেউটিন’সহ সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।