মতলব উত্তর ব্যুরো
মতলব উত্তর উপজেলার সাহাবাজকান্দি রসুলপুর গ্রামে পুকুরের প্রকৃত মালিককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় একটি মহল বৈধ মালিক না হয়েও পুকুরের মধ্যে ঘর নির্মাণ করে জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ওই গ্রামের শহিদ উল্যাহ সিকদারের ছেলে মো. কাওছার সিকদার।
বাদী মো. কাওছার সিকদার সরেজমিনে বলেন, সাহাবাজকান্দি মৌজায় সাবেক ৬৫৯ ও হাল ১২০৬ দাগে ২২ শতাংশ জায়গার মধ্যে ১০ শতাংশ জায়গায় পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে বিগত দিন যাবৎ পুকুর খনন করে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু মামলার বিবাদী একই গ্রামের মৃত ছিটু সিকদারের ছেলে মিজান (৪০), ফয়েজ আহমেদ (৪৫), মোকশেদ সিকদারের ছেলে নাজমুল সিকদার (৩২) ফয়েজ আহমেদের ছেলে আশিক সিকদার (২০) ও ফজলু (৫৫) সহ আরো কয়েকজন পুকুরটি দখল করার লক্ষ্যে জোড়পূর্বক দখল করতে চেয়েছে। এমতাবস্থায় ঘর নির্মাণ না করার জন্যে গত ৯ নভেম্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে নিষেধ করেছে। কিন্তু তারা পুণরায় ১১ নভেম্বর ঘর নির্মাণ করা প্রস্তুতি নেয়। এতে আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদের মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। পরে গত ১২ নভেম্বর ওই জায়গায় স্থিতি অবস্থা জারি করার লক্ষ্যে আদালতে যাই। এই সুযোগে তারা পুকুরের ঘর নির্মাণ করে। বর্তমানে ওই জায়গায় বিজ্ঞ আদালতের সকল ধরনের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার নির্দেশ রয়েছে।
কাওছার আরও বলেন, বহুদিন যাবৎ তারা আমাকে ও আমার অসহায় পরিবারকে মামলা হামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। তারই সূত্র ধরে আমার পুকুরের জায়গা জোড়পূর্বক দখল করতে চাইছে। বিএস রেকর্ড অনুযায়ী আমরাই প্রকৃত মালিক। কিন্তু তারা আমাদেরকে পূর্ব শত্রুতার জেড় ধরে আমাদেরকে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাই।
এদিকে নালিশী ভূমি সম্পর্কে সাংবাদিকদেরকে তথ্য দেওয়ার সময় বিবাদীরা ঘটনাস্থলেই বাদী কাওছারকে মারধর করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে ১নং বিবাদী মিজান সিকদার বলেন, এই সম্পত্তি সিএস মূলে আমার দাদার, সে হিসেবে এই জায়গা ভোগদখল করে আসছি। পরে জানতে পাই আমাদের নামে রেকর্ড নাই, পরে আদালতে বিএস রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি। আদালতের রায় আসলেই ঘর নির্মাণ করতে পারতেন? এই প্রশ্নের জবাবে মিজান বলেন, আমার স’মিলের শ্রমিক থাকবে, তাই ঘর নির্মাণ করেছি।