• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর, ২০২১
সর্বশেষ আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০২১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে ‘রক্তক্ষরণ হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরিপাকতন্ত্রে ‘রক্তক্ষরণ হচ্ছে’ জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাকে বিদেশে নেওয়া এখন অতি জরুরি।

শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি একথা বলেন।

ফখরুল বলেন, কেন আমরা দেশনেত্রীর বাইরে চিকিৎসার কথা বলছি, কী কারণে- তা আমাদের সবারই জানা উচিত। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার যে অসুখ তা প্রধানত পরিপাকতন্ত্রের। কোন জায়গায় তার রক্তপাত হচ্ছে- এটাকে বের করার জন্য আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ডাক্তাররা গত কয়েকদিন ধরে চিকিৎসার যে পদ্ধতি আছে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন রকম কাজ করেছেন। কিন্তু একটা জায়গায় এসে তারা আর এগুতে পারছেন না। কারণ আর সেই ধরনের কোনো টেকনোলজি দেশে নেই, যে টেকনোলজি দিয়ে সেখানে পৌঁছাতে পারেন। যে কারণে চিকিৎসকরা বার বার বলছেন, দেশনেত্রীকে একটি এডভান্স সেন্টারে নেওয়া দরকার। যেখানে এ ডিভাইসগুলো আছে, টেকনোলজি আছে, যন্ত্রপাতিগুলো আছে, যেখানে গেলে তার সঠিক যে রোগ সেই রোগের জায়গাটা তারা ধরতে পারবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী অনেক অসুস্থ। এখন তার জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে, পরিপাকতন্ত্রের যেখান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সেটা বন্ধ করা।

দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা অনেকে অনেক কথা বলেছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বিদ্রুপ করতেও দ্বিধা করেন না, এরা এত অমানুষ।

৭৬ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রারাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতার জন্য টানা ২৬ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। এর ছয়দিনের ব্যবধানে খালেদা জিয়াকে আবার ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির পর ১৪ নভেম্বর দিবাগত রাত থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে সিসিইউতে রাখা হয়েছে।

গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

এর আগে গত এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। পরে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। পরে করোনার টিকা নিতে তিনি দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত তিন দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এ মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়েছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • জাতীয় এর আরও খবর
error: Content is protected !!