• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর, ২০২১
সর্বশেষ আপডেট : ২৬ নভেম্বর, ২০২১

চোর ও ছিনতাইকারী হলেও সাচ্চা ইমানদার!

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

সে চোর, ছিনতাইকারী, মাদক সেবন ও বিক্রেতা হলেও একজন সাচ্চা ইমানদার আছেন বলে হাসির ছলে দাবী করেছেন,পুলিশ সদস্য ও উপস্থিত অসংখ্য এলাকাবাসী।

তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হওয়ায় পরকালের চিন্তা ও আপন ছোট ভাইকে চুরি ও ছিনতাই করা টাকা দিয়ে আরবী শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য মাদ্রাসায় ভর্তি করে দিয়েছেন বলে চোর চক্রের সদস্য ও ছিনতাইকারী শোবরাব গাজী জানিয়েছেন।

শোহরাবের অভিভাবক ২ ছেলে সন্তানকে রেখে বাবা-মা’পৃথক ভাবে বিয়ে করে অন্যত্র ঘর বেধেছে বলে সে আকুতি করে জানান। যার ফলে সে ও তার ভাই অসহায় পড়ে। তাই শোহরারের চিন্তা ও চেতনায় চুরি ও ছিনতাই করা অর্থ দিয়ে বড় ভাই হয়ে ছোট ভাইকে আরবী শিক্ষায় শিক্ষিত করছে,বলে জানা যায়।

তাই বলছি,বর্তমান সমাজে একটি প্রবাদ আছে,সে চোর হলেও কি হবে ইমানদার আছে। যার প্রমান মিললো চোর ও ছিনতাইকারী আটক শোহরাবের জীবনে। সে চুরি করা অর্থদিয়ে ভাইকে পড়ালেখা করিয়ে একজন ভাল মানের আলেম বানাতে চায় বলে বলে তার প্রত্যাশা। এ সব কথা শোহরাব কান্নাজড়িত কন্ঠে বার বার বলতে থাকে চাঁদপুর মডেল থানার লকাপে থেকে।

খবর নিয়ে জানা যায়,চাঁদপুর শহরের কমিউনিটি পুলিশ অঞ্চল-৪,এ’ টহল সদস্যরা সোহেল মিজি ও মো: জাকির গাজী বুধবার গভীর রাত অনুমান ২টায় অভিযানকালে শহরতলীর মৈশাদী গাজী বাড়ির মৃত শফিক গাজীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী, মাদক বিক্রি,সেবনকারী ও চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য মো: শোহরাব হোসেন গাজী ওরফে শোহরাব(১৮)কে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে চাঁদপুর মডেল থানায় সোপর্দ করে।

পুলিশ তাকে বুধবার শেষ বিকেলে আদালতে পাঠালে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় বলে ওসি মোহাম¥দ আব্দুর রশিদ নিশ্চিত করেন।

ছিনতাইকারী ও চোর চক্রের সদস্য শোহবারের সাথে চাঁদপুর মডেল থানায় জিজ্ঞাসা বাদের এক পর্যায়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে সে বলে উঠে,আমার বিরুদ্বে মামলা দিবেন না’ আমি আর এ কাজ করবো না। আমি রিকসা চালিয়ে খাবো! আমি জেলে চলে গেলে আমার ছোট ভাইকে কে দেখবে?
আমার মা’অন্যত্র বিয়ে করে চলে গেছে। আবার বাবা থেকেও নেই। সে মৃত সেও বিয়ে করে রাঙ্গামাটি থাকে। আমি আর আমার ছোট ভাই বাড়িতে থাকতাম। এখন আমি কোর্টস্টেশন ভাঙ্গারি সুমনের সাথে ভাঙ্গারি কাজ করে আমার ভাইকে মাদ্রাসায় পড়াই। তার ভাইয়ের নামকি জানতে চাইলে বলে তার নাম কামরুল হোসেন সবুজ গাজী(১৩)।

সে বাস টার্মিনাল স্বর্ন খোলা রোডের মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেনীতে আরবী পড়াশুনা করছে। আমি তার এক মাত্র অভিভাবক। আমার উপার্যনের টাকা দিয়ে তাকে পড়ালেখা করাই। আমাকে ছেড়ে দেন,আমি আর এ সব কাজ করবো না’ রিকসা চালিয়ে খাবো।

এ সময় এক কৌতহলী জনতা বলে উঠেন চাঁদপুরের এক জন চোর ও রিকসা চালক এখন একটি এলাকার চেয়ারম্যান ও সিনেমার প্রযোজক। ছিচকে চোর থেকে কোটিপতি। তুই (চোর শোহরাব) ও একদিন এভাবে চুরি ও ছিনতাই করে একদিন নেতা হবি ও কোটিপতি হবি। তুই জেল থেকে বেড় হয়ে চোর থেকে কোটিপতি হওয়া সে ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করিছ। তা’হলে একদিন তুই সদর উপজেলার মৈশাদী এলাকার চেয়ারম্যান ও কোটিপতি হতে পারবি।

এ সময় পুলিশ ও আমজনতা অনেকে বলেন,সে খারাপ হলেকি হবে সে একজন সাচ্চা মুসলমান ও ইমানদার। সে নিজে শিক্ষিত হতে পারেনি বলে তার ভাইকে শিক্ষা অর্জন করাচ্ছে। তাই বলছি,বর্তমান সমাজে একটি প্রবাদ আছে,সে চোর হলেও কি হবে ইমানদার আছে। যার প্রমান মিললো চোর ও ছিনতাইকারী আটক শোহরাবের জীবনে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!