• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর, ২০২১
সর্বশেষ আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০২১

দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে পায়রা সেতু, দুমকি, পটুয়াখালী প্রান্তে ভার্চুয়াল সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরই চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সেতুটি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি একটি গোষ্ঠী। যার ফলে দেশ গড়ার দিকে নজর না দিয়ে ক্ষমতাকে ভোগ করাই ছিল তাদের কাজ।

দেশকে অস্থিতিশীল যাতে না করতে পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভাব মূর্তি নষ্ট করতেই ইচ্ছেকৃতভাবে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। দেশের উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করতে সক্রিয় একটি গোষ্ঠী। দেশের উন্নয়ন তাদের চোখে পরে না।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা আসলে চায় না বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে বাঁচুক। এ কারণে স্বাধীনতার এত বছর পরও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল অবহেলিত রয়ে গেছে, পিছিয়ে আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমরা দেশের প্রতিটি অঞ্চলকে সমান গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়েছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা দেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারাই চায় না দেশের মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। কিন্তু আজ বাংলাদেশের নাম শুনলে সবাই সম্মান করে। বিশ্বে বাংলাদেশের একটা মর্যাদার জায়গা তৈরি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর কখনো কেউ পেছনে টানতে পারবে না। এর মাঝে কিছু কিছু ঘটনা মাঝে মধ্যে ঘটছে, ঘটানো হচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হচ্ছে। সেটা আপনারা নিজেরাই টের পান। যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। সেই সঙ্গে অপপ্রচারও চালানো হয়।

তিনি বলেন, আমরা যতই উন্নতি করি। ভালো কাজ করি। একটা শ্রেণিই আছে বাংলাদেশের বদনাম করতে তারা ব্যস্ত। তারা কি চায়? এ দেশের স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক সেটা চায় না। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হলে পরে তাদের একটু কদর বাড়ে। সেজন্য তারা সবসময় উন্নয়নটা আর দেখে না। বরং ধ্বংসই তারা করতে চায়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এ ব্যাপারেও দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি আমরা মোকাবিলা করেছি। টিকা আমরা দিচ্ছি। বাংলাদেশের কোনো মানুষই বাদ থাকবে না। সবাইকে আমরা টিকা দিয়ে যাতে নিরাপদ থাকতে সেই ব্যবস্থাও আমরা করবো। স্কুল, কলেজগুলোও ধীরে ধীরে খুলে দিচ্ছি। যাতে আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয়।

প্রধানমন্ত্রী সিলেট ও বরিশাল বিভাগের উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সিলেট-তামাবিলের রাস্তাটা আওয়ামী লীগের আমলে (১৯৯৬-২০০১) করে দেওয়া। ওই রাস্তাটা তখনই আমি চার লেন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের আপত্তির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তবে সেটাকে আরও অতিরিক্ত চার ফুট চওড়া করে রাস্তাটা প্রকল্পের কাজ শুরু করি। তখন আমাদের পাঁচ বছর ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে অতিরিক্ত চওড়া ছিল, সেটা বন্ধ করে দিয়েছিল।

ঢাকা-সিলেট, সিলেট-তামাবিল সড়ক আধুনিক রাস্তা হিসেবে সরকার তৈরি করতে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই সড়কে কোনো রকমের যানজট মোকাবিলা করতে হবে না। সরাসরি সিলেট এবং সিলেট হয়ে তামাবিলে পৌঁছাতে পারবে। আর ভবিষ্যতে এসক্যাপ যে এশিয়ান হাইওয়ে নির্মাণ করছে তার সঙ্গে…। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সড়ক যোগাযোগের সঙ্গে আমরা সংযুক্ত হতে পারব। সেই সুযোগটাও আমাদের সামনে আসবে। সেই দিক থেকে এটাও গুরুত্বপূর্ণ।

সারা বাংলাদেশে সরকার যোগাযোগের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই দেশের যতটুকু উন্নয়ন সেটা আমরাই করে দিচ্ছি। সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনসহ যতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা আওয়ামী লীগ সরকারে আমলেই হয়েছে।

তিনি বলেন, বরিশাল বিভাগে শুধু রাস্তায়ই করি নাই। সেখানে সেনানিবাস নির্মাণ করা হয়েছে। একটি নৌ ঘাঁটি হচ্ছে। বিমান ঘাঁটি হচ্ছে। সেই সঙ্গে কোস্ট গার্ডের ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এবং কোস্ট গার্ড ঘাঁটি সেখানে করা হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। আমরা পটুয়াখালীর গলাচিপাতে বীজ গবেষণা কেন্দ্র করেছি। সেইভাবে বরিশাল বিভাগে বড় কর্মযজ্ঞ চলছে।

পায়রা বন্দর নিয়ে অনেক আপত্তি ছিল বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা হবে না। হলে কি হবে ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের বন্দর দরকার। সেটা মাথায় রেখেই পায়রা বন্দর নির্মাণ করেছি।

বাংলাদেশকে প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করেই বাঁচতে হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের এই দক্ষিণাঞ্চলটা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে। তাই এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতিটা আমরা যত দ্রুত করতে পারব, তত এই অঞ্চলের মানুষ দ্রুত আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে।

বরিশাল বিভাগ ও বৃহত্তর ফরিদপুরের জেলাগুলো সবসময় অবহেলিত ছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ওই এলাকার ১২টি জেলা সবসময় অবহেলিত ছিল। তাদের অপরাধটা কি ছিল সেটাই হচ্ছে প্রশ্ন। তাদের কেন এত অবহেলার শিকার হতে হল? এ অঞ্চলের মানুষ সবসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি বলেন, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেই আপনাদের সঙ্গে গণভবনে বসেও কথা বলতে পারছি, মিলিত হতে পারছি। তবে এটা ঠিক যে আমি যদি সেখানে উপস্থিত থাকতে পারতাম, পায়রা সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে পারতাম বা সেতুতে নেমে যদি একটু দাঁড়াতে পারতাম, পায়রা নদীটা দেখতে পারতাম, যে নদীতে আমি সব সময় স্পিডবোটে চড়েছি সেই নদীর উপরের ব্রিজে যদি হাঁটতে পারতাম। তবে সত্যি খুব ভালো লাগতো।

করোনা পরিস্থিতির কারণে যেতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু করোনার কারণে আসলে এক প্রকার বন্দি জীবন, সেজন্য আর সেটা হলো না। তবে আমার আকাঙ্খা আছে একদিন গাড়ি চালিয়ে সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন, দৃষ্টিনন্দন এ নতুন সেতুটা দেখতে যাবো অবশ্যই।

তিনি বলেন, তবে আমার ইচ্ছা আছে, পরিস্থিতি বুঝে একদিন পায়রা সেতুর ওপর দিয়ে আমি গাড়ি নিয়ে যাবে। কাছ থেকে দেখবো সেতুটি।

শেখ হাসিনা বলেন, বরিশাল-পটুয়াখালীর একটা সংযোগ সৃষ্টি করবে এই পায়রা সেতু। কারণ পায়রা নদীর ওপর সেতু। নদীর নামে সেতুর নামটা হলে নদীটারও একটা পরিচয় পাওয়া যাবে। এজন্য আমি নামটা পছন্দ করেছি। আর পায়রা তো শান্তির প্রতীক, কাজেই এ অঞ্চলে এই সেতু হবার পর মানুষের যে আর্থিক উন্নতিটা হবে, তার ফলে মানুষের মনে একটা শান্তি আসবে, মানুষ সুন্দরভাব বাঁচতে পারবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দৃষ্টি নন্দন এ সেতু দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে পারলে একটু হেঁটে দেখতে পারলে ভালো লাগতো। যেহেতু করোনার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না, তবে আশা আছে।

প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে তার সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন উন্নয়ন এবং সম্ভাবনার বিষয় তুলে ধরেন।

সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার এ উন্নয়নে বরিশাল-পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে। পায়রা সেতুতে বদলে যাবে বরিশাল বিভাগের চিত্র। সেতুটিতে যান চলাচলের মধ্য দিয়ে এখানকার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, ব্যবসার প্রসার, পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং সর্বোপরি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা প্রান্তে আরো বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের-এমপি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু-এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ-এমপি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।

অপরদিকে বরিশাল প্রান্তে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান মিয়া, পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিববুর রহমান, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ নাথ, বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রতনা, সংরক্ষিত ২৯ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আফজাল, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের স্থানীয় কর্মকর্তাসহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল রেঞ্জের পুলিশের মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম আক্তারুজ্জামানসহ বরিশাল ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী পয়েন্টে পায়রা সেতুর নির্মাণ প্রকল্প ২০১২ সালে একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। নির্মাণ কাজটি শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই। কার্যাদেশে সেতু নির্মাণে ৩৩ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হলেও দুই দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের আগেই যানচলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

১ হাজার ৪৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর ৮২ ভাগ অর্থায়ন করেছে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং এপেক ফান্ড। নির্মাণ কাজ করেছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন।

পায়রা সেতু নির্মাণের নকশা কিছুটা ব্যতিক্রম। চার লেনবিশিষ্ট এই স্থাপনা তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে এক্সট্রাডোজড ক্যাবল স্টেইন্ড প্রযুক্তি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর শাহ আমানত সেতু একই প্রযুক্তিতে নির্মিত।

১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের পায়রা সেতুর দুই পাশে ক্যাবল­ দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। নদীর মাঝখানে রয়েছে কেবল একটি পিলার। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। জলতল থেকে সেতুটির উচ্চতা নদীর ১৮ দশমিক ৩০ মিটার ওপরে। বাতি জ্বলবে সৌর বিদ্যুতের সহায়তায়।

পায়রা নদীর ওপরে নির্মিত এই সেতু ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে নির্বিঘ্নে ভ্রমণের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। বরিশাল থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত বা পায়রা সমুদ্রবন্দর যেতে ফেরি লাগবে না। বরিশাল থেকে দুই ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে কুয়াকাটা। অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগিয়ে যাবে বরিশালসহ দক্ষিণের ছয় জেলা।

এদিকে, একই অনুষ্ঠানে তিনি ঢাকা-সিলেট এবং সিলেট তামাবিল মহাসড়ক ছয় লেইনে উন্নতীকরণ প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করেন। ঢাকায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • জাতীয় এর আরও খবর
error: Content is protected !!