• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭ জুন, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ৭ জুন, ২০২০

হাইমচরে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী আটক

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

চাঁদপুর হাইমচরে ঈশানবালায় শিশু মারজান (৯) কে ধর্ষন করে হত্যা মামলার আসামী সেলিম বেপারী (২২) আটক ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ সাল। বিকাল অনুমান সাড়ে ৫ টা ।

স্থানীয় মুকশেদ হাওলাদারের ১ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে স্থানীয় চর কোড়ালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী মারজানকে ১০০ টাকা দিয়ে ঈশান বালা বাজারে পাঠায় তার মা। বাজারে যাওয়ার পথে স্থানীয় চৌকিদার নান্নু মিয়া মারজানের মুখ চেপে ধরে জনৈক নাসির সর্দারের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে সে সহ ৪ জন নর পশু জোড় পূর্বক পালা ক্রমে ধর্ষন করে। মারজানের গোপনাঙ্গে রক্তের ধারা বয়ে যায়।

জ্ঞান হারায় মারজান। জ্ঞান ফিরলে ঘটনা প্রকাশ হয়ে যাবে এ কারনে ৪ পাষন্ড নরপশু গলা টিপে হত্যা করে মারজানকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত শুরু হলেও মেয়ে বাড়ী ফিরে না আসায় সবাই এদিক সেদিক খুঁজাখঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে মৃত মারজানের উলঙ্গ প্রাণহীন দেহ পাওয়া যায় হাইমচর থানার ঈশানবালা এলাকায় মারজানের বাড়ীর অদুরে নদীর পাড়ে।

ধর্ষক ও হত্যাকরীরা এলাকার সুবিধাবাদী মহলের যোগসাজসে সুকৌশলে মারজানকে জ্বীনে মেরেছে বলে প্রচার করে মারজানের মৃতদেহ দাফন করা হয় স্থানীয় কবর স্থানে। কিন্তু হতভাগী মারজনের মা- বাবার মন কিছুতেই সায় দেয়না যে, তাদের আচঁলের নিধি মারজানকে জ্বীনে মেরেছে। মনকে কোন ভাবেই বুঝ্ দিতে না পেরে মারজানের বাবা ১০ জানুয়ারী ২০১৮ সালে ঈশানবালা সাকিনের দ্বীন ইসলাম হাওলাদারের ছেলে জালাল মিয়া হাওলাদার (২১) , কাদির বেপারীর ছেলে সিদ্দীক (২২) ও শফিক উল্লাহ বেপারীর ছেলে সেলিম গং দের আসামী করে মামলা করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর এর আদালতে।

আদালত ওসি হাইমচর থানাকে সরাসরি মামলা রজুর আদেশ দিলে হাইমচর থানার মামলা নং ০৪ তারিখ ১৬/০১/১৮ ইং ধারা -৩০২/৩৭৬/২০১/৩৪/১০৯ দ: বি রজু হয়। তদন্ত ভার দেয়া হয় হাইমচর থানার এস আই সুমন মিয়াকে। ১

বছরে ও মামলাটির তদন্তে উল্লেখ যোগ্য কোন অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশ সুপার চাঁদপুর মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করেন। আই ও নিয়োগ করা হয় ডিবির এস আই শামীম আহম্মদকে। এস আই শামীম বদলী সুত্রে অন্যত্র গেলে১০/০২/২০২০ ইং এস আই রেজাউলকে মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয়।

এক মাসের মাথায় এস আই রেজাউল মামলার ঘটনায় সম্পৃক্ত এজাহার বহির্ভূত আসামী নান্নু চৌকিদার কে গ্রেফতার করেন শরিয়তপুর থেকে। জিজ্ঞাসাবাদে নান্নু সে নিজে সহ এজাহার নামীয় ৩ আসামী মারজানকে নারকীয় ভাব ধর্ষন ও হত্যার লোমহর্ষক বিবরন দেয় এবং বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দেয়।

ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া ডিবি চাঁদপুরের দায়িত্ব গ্রহনের পর এ মামলাটির তদন্তকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আই ও কে বিশেষ দিক নির্দেশনা দেন। ওসি রনজিত বড়ুয়া বলেন , মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মাহবুবুর রহমান পিপি এম (বার) এর দিক নির্দেশনা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) জনাব মিজানুর রহমান এর সার্বিক সহযোগীতায় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৭ জুন বেলা ২ টার সময় গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকায় এস আই রেজাউল করিম সহ সঙ্গীয় ফোর্স এজাহার নামীয় অন্যতম আসামী মোঃ সেলিম বেপারী (২২) , পিতা- শফিউল্লাহ বেপারী, সাং-সুরুজ সরকার কান্দি, চরবাও, ঈশানবালা , থানা- হাইমচর জেলা- চাঁদপুরকে গ্রেফতার করা হয়।

ওসি ডিবি রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, আসামি সেলিমকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন সহ আদালতে প্রেরণ হবে। OC DB Chandpur এর ফেইসবুক থেকে নেয়া।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • সারা দেশ এর আরও খবর
error: Content is protected !!