• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬ জুন, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ৬ জুন, ২০২০

হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গে নিহতের মৃত দেহ দাহ করতে দেয়নি পৌর শশ্মান কমিটির সভাপতি অপন সাহা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
কুটির শিল্পের সত্ত্বাধিকারী শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ণ জিউড় আখড়ার কার্যকরী কমিটির সদস্য রঞ্জিব কুমার রায়

বিশেষ প্রতিনিধি॥

হাজীগঞ্জে করোনা উপসর্গে নিহতের মৃত দেহ দাহ করতে দেয়নি পৌর শশ্মান কমিটির সভাপতি অপন সাহা। এ নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।

হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য ও শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ণ জিউড় আখড়ার পরিচালনা পর্ষদের যুগ্ম সম্পাদক তপন পাল জানান, হাজীগঞ্জ বাজারের স্বর্ণকার পট্টির বিশিষ্ট স্বর্ণ ব্যাবসায়ী রায় কুটির শিল্পের সত্ত্বাধিকারী শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ণ জিউড় আখড়ার কার্যকরী কমিটির সদস্য রঞ্জিব কুমার রায় (৬ জুন) রাত ২টার সময় হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রচ- শ^াস কষ্টে নিহত হয়। এ ছাড়াও তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ্য ছিলেন। সকালে তার মৃতদেহ দাহ করার জন্য হাজীগঞ্জ পৌর মহা শশ্মানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শশ্মান কমিটি মৃতদেহ দাফনে টালবাহানা শুরু করে ৩ ঘন্টা ধরে পরিবারের লোকজন শশ্মান কমিটির পায়ে ধরলেও শশ্মানে মৃতদেহ দাহ করতে দেয়নি কমিটির সভাপতি অপন সাহা।

তিনি আরো জানান, নিহত রঞ্জিব কুমারের ছোট বাই শশ্মান কমিটির সাধারণ সম্পাদকের কাছে মৃতদেহ দাহর জন্য অনুমতির জন্য গেলে তিনি শশ্মান কমিটির সভাপতি অপন সাহার কাছে যেতে বলেন।

অপন সাহার কাছে অনুমতি চাইলে তিনি জানান, আমি শশ্মান সংস্কারে অনেক টাকা খরচ করেছি। এখানে সব মৃতদেহ দাহ করা হয়না। সকাল ৮টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে মৃতদেহ নিয়ে রঞ্জিবের পরিবার তাদের গ্রামের বাড়ী একই উপজেলার ৬নং বড়কুল ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামে নিয়ে দাহ করে।

হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এবং শ্রী শ্রী রাজা লক্ষী নারায়ণ জিউড় আখড়ার সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত ভদ্র মিঠুন জানান, একটি মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে একটি পরিবার শশ্মানে বসে থাকলও অপন সাহা লাশ দাহ করতে দেয়নি বিষয়টি খুবই দূঃখ জনক।

তিনি জানান, আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া, পৌর মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগির হোসেন রনিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে শশ্মান কমিটির সভাপতি অপন সাহাকে কয়েকবার ফোন করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় তবে সাধারণ সম্পাদক মুঠোফোনে জানান, মৃতদেহ দাহ করার জন্য রঞ্জিব কুমার রায়ের ছোট ভাই আমার কাছে এসেছিল আমি বলেছি সভাপতির সাথে যোগাযোগ করার জন্য। তারা পরে আর কেউ আমার সাথে যোগাযোগ করতে আসেনি।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • সারা দেশ এর আরও খবর
error: Content is protected !!