• ঢাকা
  • শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২ মে, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ১২ মে, ২০২০

শাহরাস্তি রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনির চৌধুরীর বিরুদ্ধে ন্যায্য মূল্যের চাল আত্মসাতের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির চৌধুরীর

বিশেষ প্রতিনিধি:

শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির চৌধুরীর বিরুদ্ধে ন্যায্য মূল্যের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যপারে ওই ওয়ার্ডের আনসার আলীর পুত্র মোঃ মেহেদি হাসান বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ওয়ার্ডের মেম্বার মনির চৌধুরী গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি সহায়তা ভিজিডি ও ন্যায্য মূল্যের চাল বিতরণের কার্ড তার নিকট জমা রেখে অসহায় মানুষের চাল আত্মসাত করে আসছে।

সরেজমিনে ওই ওয়ার্ডে গেলে উল্যাশ্বর গ্রামের কাঁঠালিয়া বাড়ির রেহান উদ্দিনের পুত্র মোঃ আবুল কাশেম জানান, আমার ১০ টাকা মূল্যের চালের কার্ড আজ ৪ বছর ধরেই মেম্বার মনির চৌধুরীর কাছে আছে। আমি তার কাছে চাইতে গেলে তিনি জানান, কার্ড তার কাছেই থাকবে। আমি এ পর্যন্ত ৮ বার চাল পেয়েছি।

ওই গ্রামের দক্ষিণ পাড়া তালুকদার বাড়ির মৃত হাসান আহম্মদের পুত্র মোঃ শাহ্ আলম জানান, আমার ভিজিডি কার্ড করার পর হতেই তা মনির মেম্বারের কাছে রয়েছে। আমি ৪ বছরে ২ বার চাল পেয়েছি।

একই গ্রামের কাঁঠালিয়া বাড়ির আবুল খায়েরের পুত্র এমরান হোসেন জানান, আমার নামে কার্ড আছে সেটাও জানি না। আমি জানতে পারলাম আমার নামে কার্ড করে সবসময় চাল উত্তোলন করা হয়। প্রথমদিকে কার্ড করার সময় স্থানীয় এতিমখানায় সহায়তার কথা বলে আমাদের ৬ জনের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কপি নিয়েছে। আমি এতিমখানায় খোঁজ নিয়ে জেনেছি সেখানে ৩ টি কার্ডের বিপরীতে চাল দেয়া হয়।

নোয়াবাড়ির মৃতঃ সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী শিরিন আক্তার জানান, ৪ বছর আগে আমার চালের কার্ড হয়েছে। আমার কার্ড মেম্বারের কাছে রয়েছে। গত ২ বছর ধরে আমি চাল পাই না।
মৃতঃ অরুন চন্দ্র ধামের পুত্র অপু ধাম জানান, আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে এক বছরে মাত্র ২ বার চাল উত্তোলন করেছি।

এ বিষয়ে ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মনির চৌধুরী জানান, হারিয়ে ফেলা ও নষ্ট হয়ে যাওয়া রোধে আমার কাছে কার্ড জমা রেখেছি। পূর্বে স্থানীয় এতিমখানায় ৫ টি চালের কার্ড হতে চাল উত্তোলন করে দেয়া হতো, এখন ৩টি কার্ডের চাল দেয়া হয়। অভিযোগের স্বাক্ষী আফিয়া বেগম ১০ টাকার চালের পাশাপাশি বিধবা ভাতার কার্ডধারী। তাকে বেশী সুবিধা পাইয়ে দেয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষ্য দিচ্ছে। শাহ আলমের কার্ডের চাল সমঝোতায় তার বাল্য বন্ধু ওমর ফারুক উত্তোলন করে। আমিনুলরা ২ ভাইয়ের কার্ড দিয়ে ভাগাভাগি করে ৪ ভাই চাল উত্তোলন করে। মনিরের চাল তার ভাই উত্তোলন করে। স্থানীয় কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সাজিয়েছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • শাহরাস্তি এর আরও খবর
error: Content is protected !!