• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮ মে, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ৮ মে, ২০২০

মিসওয়াকের ফযিলত

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
ছবি-নতুনেরকথা।

১. হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দিকা (رضى الله تعالى عنها) থেকে বর্ণিত, নবী করিম, রউফুর রহীম (ﷺ) যখনই রাত বা দিনে ঘুম থেকে জাগ্রত হতেন, তখন অযু করার পূর্বে মিসওয়াক করতেন। (আবু দাউদ শরীফ, ২য় খন্ড, হাদীস নং – ৫৭)

২. হযরত শুরাইহ বিন হানি (ﺭَﺿِﯽَ ﺍﻟﻠﮧُ ﺗَﻌَﺎﻟٰﯽ ﻋَﻨْﮧُ) বলেন, আমি হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দিকা (رضى الله تعالى عنها)’কে জিজ্ঞাসা করলাম : হুজুর (ﷺ) যখন ঘরে প্রবেশ করতেন তখন সর্বপ্রথম কোন কাজটি করতেন? তিনি বললেন : মিসওয়াক। (মুসলিম শরীফ, ১৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং – ২৫৩)

৩. হযরত সায়্যিদাতুনা আয়েশা সিদ্দিকা (رضى الله تعالى عنها) থেকে বর্ণিত, হুজুর পূরনূর (ﷺ) এর নিকটে রাতে অযুর পানি এবং মিসওয়াক রাখা হত, যখন হুজুর (ﷺ) রাতে ঘুম থেকে উঠতেন, তখন প্রথমেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেন অতঃপর মিসওয়াক করতেন। (আবু দাউদ শরীফ, ২য় খন্ড, হাদীস নং – ৫৬)

৪. প্রিয় নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন : “মিসওয়াক সহকারে দুই রাকাত নামায আদায় করা, মিসওয়াক ছাড়া ৭০ রাকাতের চেয়ে উত্তম।” (আততারগীব ওয়াত তারহীব, ১/১০২, হাদীস নং – ১৮)

৫. আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন : “মিসওয়াক সহকারে নামায আদায় করা, মিসওয়াক বিহীন নামায আদায় করার চেয়ে সত্তরগুণ বেশি উত্তম।” (শুয়াবুল ঈমান, ৩/২৬, হাদীস নং – ২৭৭৪)

৬. আল্লাহর প্রিয় হাবীব, প্রিয় নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন,”চারটি জিনিস রাসূলদের সুন্নাত : (১) সুগন্ধি ব্যবহার করা, (২) বিবাহ করা, (৩) মিসওয়াক করা, (৪) লজ্জা করা।” (মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ৯/১৪৭, হাদীস নং – ২৩৬৪১)

৭. প্রিয় নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন,”মিসওয়াক করো! মিসওয়াক করো! আমার নিকট হলদে দাঁত নিয়ে আসিও না।” (জমউল জাওয়ামে, ১/৩৮৯, হাদীস নং – ২৮৭৫)

৮. প্রিয় নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন : “মিসওয়াকে মৃত্যু ছাড়া সকল রোগের শিফা (আরোগ্য) রয়েছে।” (জামে সগীর, ২৯৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং – ৪৮৪০)

৯. প্রিয় নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন : “যদি আমার আপন উম্মতের কষ্ট ও সমস্যার চিন্তা না থাকতো, তবে আমি তাদের প্রতিবার অযুর সাথে মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম।” (বুখারী শরীফ, ১/৬৩৭)

১০. প্রিয় নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন : “মিসওয়াকের ব্যবহার নিজের জন্য আবশ্যক করে নাও। কেননা, এতে মুখের পরিচ্ছন্নতা এবং আল্লাহ্ তা’আলার সন্তুষ্টির মাধ্যম রয়েছে।” (মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ২/৪৩৮, হাদীস নং – ৫৮৬৯)

১১. প্রিয় নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন : “অযু হচ্ছে ঈমানের অর্ধেক, আর মিসওয়াক হচ্ছে অযুর অর্ধেক।” (মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, ১/১৯৭, হাদীস নং – ২২)

১২. প্রিয় নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন : “মানুষ যখন মিসওয়াক করে নেয়, অতঃপর নামাযে দন্ডায়মান হয়, তখন ফিরিশতা তার পিছনে দাঁড়িয়ে কিরাত শ্রবণ করে, অতঃপর তার নিকটে আসে, এমনকি নিজের মুখ তার মুখের সাথে লাগিয়ে দেয়।” (আল বাহরিজ যাখার, ২/২১৪, হাদীস নং – ৬০৩)

১৩. প্রিয় নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন : “যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করলো এবং মিসওয়াক করল, সুগন্ধি লাগালো, উত্তম কাপড় পরিধান করে, অতঃপর মসজিদে আসে এবং লোকদের গর্দানের উপর লাফিয়ে যায় না, বরং নামায আদায় করলো এবং ইমাম আসার পর (অর্থাৎ খুতবা এবং) নামায থেকে অবসর হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকল, তবে আল্লাহ্ তা’আলা তার সমস্ত গুনাহ্ যা তার দ্বারা পুরো সপ্তাহে (সংগঠিত) হয়েছে, সেগুলো ক্ষমা করে দেন।” (মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ৪/১৬২, হাদীস নং – ১১৭৬৮) ★ মিসওয়াকের

১৪ টি মাদানী ফুল মিসওয়াক পিলু অথবা যায়তুন বা নিম ইত্যাদি তিক্ত গাছের হওয়া চাই *মিসওয়াক মোটা হতে হবে কনিষ্ঠা আঙ্গুল পরিমাণ * মিসওয়াক যেন এক বিঘত অপেক্ষা লম্বা না হয়, কেননা এর উপর শয়তান বসে * মিসওয়াকের আঁশগুলো যেন নরম হয়,কারণ শক্ত আঁশ দাঁত ও মাঁড়ির মধ্যে ফাঁক সৃষ্টির কারণ হয়, মিসওয়াক তাজা হলে তো ভাল নতুবা কিছুক্ষণ পানির গ্লাসে ভিজিয়ে নরম করে নিন, চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে, এর আঁশগুলো দৈনিক কাটতে থাকুন।

লেখক, প্রভাষক আরবি, সুহিলপুর এ. বি.এস.ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা। হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!