• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০২০

পদ্মা-মেঘনায় জাটকা নিধনের দায়ে ৭৫ জেলের কারাদন্ড ও ৫৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

চাঁদপুর, ৩০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার:

ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাসে চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধনের অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে ৭৫ জেলেকে কারাদন্ড দিয়েছে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত। এসব জেলেদের আটক করতে ৮৬টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও ৬২টি মামলা হয়েছে। জব্দ হয়েছে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩০ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্টজাল।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। দন্ড প্রাপ্ত জেলেদের মধ্যে ১০ জনের দন্ড চাঁদপুর সদরে এবং ৬৫ জনের দন্ড হয়েছে হাইমচর উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতে। এসব ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএওন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের অন্যান্য অভয়াশ্রম এলাকার ন্যয় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবীসহ পাশ^বর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার ইলিশসহ সকল ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সময় অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ, সরবরারহ নিষিদ্ধ করা হয়।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রেরিত তথ্যে জানাগেছে, দুই মাসের মধ্যে মার্চ মাসে জাটকা রক্ষায় মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হলেও এপ্রিল মাসে এসে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারণে অভিযান শিথিল হয়ে যায়।

দুই মাসে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয় ৪৮৮টি। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় ৮৬টি। অবতরণ কেন্দ্র ৯, মাছঘাট ৪৭৭, আড়ৎ ১৮০৮ ও বাজার পরিদর্শন করা হয় ১২৬৯টি। জাটকা জব্দ করা হয় ১৬.০৮৩ মেট্টিক টন (জব্দ অধিকাংশ মার্চ মাসে)। অন্যান্য মাছ জব্দ করা হয় ০.২২১ মেট্টিক টন।

সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্টজালসহ অন্যান্য জাল জব্দ করা হয় ২ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩০ বর্গ মিটার। যার আনুমানিক মুল্য ৫৮ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আটককৃত জেলেদের বিরুদ্ধে মামলা হয় ৬২টি। এর মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত ছাড়া নিয়মিত মামলাও রয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতে জেলেদের বয়স কম হওয়া এবং মানবিক কারণে কারাদন্ড না দিয়ে জেলেদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ২লাখ ১৬ হাজার টাকা।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বলেন, জেলা টাস্কফোর্সের সকল জনবল দিয়ে জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে আমাদের নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। ওই মাসের শুরুতে আমরা নদী নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবে করোনা ভাইরাসের বিস্তারে বেড়ে যাওয়ায় অভিযান শতভাগ করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে অসাধু জেলেরা বিভিন্ন ভাবে জাটকা নিধন করেছে। ওইসব জাটকা পাচারকালে পুলিশ প্রশাসনের হাতে আটক হয়েছে বেশ কয়েকবার।

তিনি আরো বলেন, দুই মাসের অভিযানে জব্দকৃত জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত জাটকা সংশ্লিষ্ট উপজেলায় তাৎক্ষনিক এতিমখানা, মাদ্রসা ও গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জব্দৃকত নৌকাগুলো সংশ্লিষ্ট উপজেলায় প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!