• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২০

চাঁদপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ডাক্তারসহ ২জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
করোনা ভাইরাস জয় করে ফেরা মতলব উত্তর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মেহেদি হাছান-ফাইল ফটো।

চাঁদপুর, ২৫ এপ্রিল, শনিবার॥

চাঁদপুরে করোনা আক্রান্ত ২জন রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়েছেন। এদেরে মধ্যে মতলব উত্তর স্বাস্থ কমপ্লেক্সের আর এম ও ডা. মেহেদি হাসান ও  চাঁদপুরে করোনা ভাইরাসে প্রথম সনাক্তকৃত রোগী মতলব উত্তরের জামাই সুজন সুস্থ্য হয়েছেন।

জেলায় প্রথম করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত হয় মতলব উত্তরে ১১ এপ্রিল। আক্রান্ত হওয়া ওই যুবক (২৬) গত ৬ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ থেকে মতলব উত্তরে আসেন। সে মতলব উত্তর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকার আনারপুর গ্রামের জামাই । তার বাড়ি রংপুরে বলে জানা যায়। করোনায় প্রথম আক্রান্ত জামাই সুজন সুস্থ্য হয়েছেন।

করোনা ভাইরাসে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংগ্রহীত নমুনার মধ্যে শনিবার (২৫ এপ্রিল) ৩২ জনের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৩১ জনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এবং গত বৃহস্পতিবার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ফরিদগঞ্জ উপজেলার শারমিন (১৪) এর রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। পূর্বের আক্রান্ত ১৩ জনসহ জেলায় করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪জনে। ১৪ জনের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৭, মতলব উত্তরে ৩, ফরিদগঞ্জে ৩ ও হাইমচরে ১জন ১২ বছর বয়সী কিশোরী।

আরো পড়ুন; মতলবে করোনায় আক্রান্ত ৩ জনকে ঢাকায় প্রেরণ

শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ড. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

পজেটিভ রিপোর্ট আসা মৃত শারমিন ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম লাড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে করোনা ভাইরাস এর উপসর্গ নিয়ে গত বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর সদর হসপিটালের আইসোলেশনে ইউনিটে ভর্তি হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। দুই দিন পরে শনিবার রিপোর্ট আসলে নিশ্চিত হয় সে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

আরো পড়ুন: দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে মাথা বিচ্ছিন্ন করে

আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার আরএমও ও প্রথম আক্রান্ত সুজন সুস্থ্য হয়েছেন। মারাগেছেনে শারমিন ও কামরাঙ্গা গ্রামের জামাই ফয়সাল। জামাই ফয়সালের মৃত্যুর পরে তার শ^শুর ও শ্যালিকার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ওই পরিবারের ৯জনের নমুনা সংগ্রহ হয়। বাকীদের নেগেটিভ আসে।

চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলায় আক্রান্ত সংখ্যা ১৪জন। আইসোলেশনে ইউনিটে আছেন ৩জন। পুরো জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৭১জন। হোম কোয়ারেন্টিন এর মেয়াদ শেষে ছাড়া পেয়েছেন ৪১৬জন। জেলা ও উপজেলা থেকে সর্বমোট ২৫৭টি করোনার নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত রিপোর্ট এসেছে ২৩৯টি। অপেক্ষমান রয়েছে ১৮ জনের রিপোর্ট।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!