ত্রাণ চাওয়ায় কৃষককে মারধর করা সেই ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

  • আপডেট: ০৭:৪২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০
  • ২৭

অনলাইন ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে হটলাইন নম্বর ৩৩৩-এ ফোন করে ত্রাণ চাওয়ায় কৃষককে মারধরকারী সেই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে নাটোরের লালপুর উপজেলার ৯নং অর্জুনপুর-বরমহাটি (এবি) ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. সাত্তারকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা যুগান্তরকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত লালপুর এবি ইউনিয়নের আঙ্গারিপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলামসহ প্রায় ৩০০ জন করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়েন। তিনি টেলিভিশনের মাধ্যমে জানতে পারেন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে খাদ্য সহায়তা পাওয়া যাবে। পরে তিনি ১০ এপ্রিল ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে তার নিজের ও অনদের জন্য খাদ্য সহায়তা চান।

৩৩৩ নম্বর থেকে তাকে খাদ্য সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়। ৩৩৩ নম্বর থেকে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগতি করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ওই এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

এর দুদিন পর ১২ এপ্রিল স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. সাত্তার ও চৌকিদার দিয়ে ডেকে এনে কৃষক শহিদুলকে মারপিট করেন।

চেয়ারম্যান কৃষক শহিদুলকে ধমক দিয়ে বলেন, তুই ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেছিস কেন, এতে আমার ও এলাকার সম্মান নষ্ট হয়েছে। এসব কথা বলে কৃষক শহিদুল ইসলামকে মারধর করেন।

চেয়ারম্যান ধমক দিয়ে আরও বলেন, বিষয়টি আর কাউকে জানাবি না। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে কৃষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আ. সাত্তারের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

ত্রাণ চাওয়ায় কৃষককে মারধর করা সেই ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

আপডেট: ০৭:৪২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে হটলাইন নম্বর ৩৩৩-এ ফোন করে ত্রাণ চাওয়ায় কৃষককে মারধরকারী সেই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে নাটোরের লালপুর উপজেলার ৯নং অর্জুনপুর-বরমহাটি (এবি) ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. সাত্তারকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা যুগান্তরকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত লালপুর এবি ইউনিয়নের আঙ্গারিপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলামসহ প্রায় ৩০০ জন করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়েন। তিনি টেলিভিশনের মাধ্যমে জানতে পারেন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে খাদ্য সহায়তা পাওয়া যাবে। পরে তিনি ১০ এপ্রিল ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে তার নিজের ও অনদের জন্য খাদ্য সহায়তা চান।

৩৩৩ নম্বর থেকে তাকে খাদ্য সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়। ৩৩৩ নম্বর থেকে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগতি করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ওই এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

এর দুদিন পর ১২ এপ্রিল স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. সাত্তার ও চৌকিদার দিয়ে ডেকে এনে কৃষক শহিদুলকে মারপিট করেন।

চেয়ারম্যান কৃষক শহিদুলকে ধমক দিয়ে বলেন, তুই ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেছিস কেন, এতে আমার ও এলাকার সম্মান নষ্ট হয়েছে। এসব কথা বলে কৃষক শহিদুল ইসলামকে মারধর করেন।

চেয়ারম্যান ধমক দিয়ে আরও বলেন, বিষয়টি আর কাউকে জানাবি না। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে কৃষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আ. সাত্তারের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।