• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ৯ এপ্রিল, ২০২০

চাঁদপুরে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী সনাক্ত

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

মতলব উত্তর প্রতিনিধি:

চাঁদপুর জেলায় প্রথম করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত রোগী মতলব উত্তর উপজেলার বাসিন্দা। পুরো চাঁদপুর জেলায় প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। করোনা মুক্ত রাখা আর সম্ভব হলো না জেলার সীমান্তবর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলার অসচেতন কিছু মানুষের জন্য।

৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টায় নতুনেরকথাকে এ তথ্য জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদি হাসান।

আরো পড়ুন: চাঁদপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা

করোনায় আক্রান্ত (নামটি প্রকাশ করা হলো না) নারায়ণগঞ্জ থেকে গত ৫ এপ্রিল মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউিনিয়নের হারিপাড় গ্রামের তার শ্বশুর বাড়িতে জ্বর, সর্দি,কাশি নিয়ে বেড়াতে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজনদের তার মধ্যে করোনার উপসর্গ সন্দেহাতীত হওয়ায় তাকে গত ৬ এপ্রিল মতলব উত্তর উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসরা তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায়।

আরো পড়ুন:করোনায় নতুন করে আক্রান্ত ১১২জন, মৃত্যু ১

করোনায় আক্রান্ত ৩২ বছর এ যুবকের এর বাড়ি রংপুর। সে নারায়ণগঞ্জের বন্দর একটি বেসরকারি কারখানায় চাকুরি করতেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে গত ৫ এপ্রিল মতলব উত্তরের হানিরপাড় তার শ্বশুর বাড়িতে ফেরেন। তার শ্বশুরের নাম (প্রকাশ করা হলো না)।

আরো পড়ুন: সৌদি রাজ পরিবারের দেড়শতাধীক সদস্য করোনা আক্রান্ত!

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুশরাত হাহান মিথেন নতুনেরকথাকে জানান, ওই ব্যাক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে ৬ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে ৯ এপ্রিল ফলাফলে তার দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তার শ্বশুর বাড়িতে পুলিশসহ অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হবে।

আরো পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর ৪ উপজেলায় ১২৪ জনের অবস্থান, স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক

চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এই রিপোর্ট আসার দিনেই চাঁদপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলা লকডাউনে থাকবে।

স্থানীয়রা জানান, সুজন এর শ্বশুর পরিবারের কয়েকজন সদস্য বাজার ও মানুষের বাড়িতে গিয়ে কাজ করেন। যার কারণে তাদের কারণে ওইসব বাড়িগুলো ঝুঁকিপূর্ণ এবং খুবই ভয়াবহ।
স্থানীয়রা দাবী করছেন সুজন যে বাড়ীতে আছে এবং ওই বাড়ীর লোকজন যেখানে যেখানে কাজ করে সবগুলো বাড়ী এলাকা লকডাউন করা একান্ত জরুরি। আর তা না হলে মতলব উত্তর ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। বিষয়টি যেন উপজেলা প্রশাসন খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!