• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১ এপ্রিল, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ১ এপ্রিল, ২০২০

প্রবাসী মুন্নার মানবসেবা সংগঠন হাসি’র অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, সৌদি আরব প্রতিনিধি:

সৌদি আরব রিয়াদ আল খারিজ প্রবাসী মোছলেহ উদ্দিন মুন্না’র প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামের মানব সেবামুলক সংগঠন হাসি’র পক্ষ হতে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় অসহায় হত দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরন করা হয়েছে। অসহায় পরিবারের জন্য চাল, ডাল, আলু, পিয়াজ, সাবান, মাক্স ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়।।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনসার্জ জনাব মোহাম্মদ মহসিন(পি পি এম) এর হাতে উক্ত থানা এরিয়ার জন্য খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়।

৩৫ নং বক্সির হাট ওয়ার্ডের জন্য চাকতাই মহল্লা কমিটি সভাপতি সংগঠনের উপদেষ্টা জসিম উদ্দিন মিন্টুর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১৯ নং বাকলিয়া ওয়ার্ডের জন্য হাসির উপদেষ্টা সাবেক কারা পরিদর্শক জনাব আব্দুল মান্নান এর হাতে তূলে দেওয়া হয়।

৩৪ নং ওয়ার্ডের জন্য উক্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হাসির উপদেষ্টা বাবু পুলক খাস্তগীর এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১৮ নং ওয়ার্ডের জন্য হাসি পরিবারের সদস্য ইরফানুল আলম হিমেল কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এই সময় সংগঠননের পক্ষ হতে উপস্থিত ছিলেন  মোর্শেদুল আলম, মোঃ মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ আইয়ুব, রনি, সায়মন,মোঃলিটন, মোঃ সাইফউদ্দিন সাইফ, মোঃ অভি খান, পুজনীয় চৌধুরী, ইরফানুল হিমেল, মোঃ মনছুর, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, রোকন, আশরাফ,তারেক, সৌরভ, রুবেল, সোহেল,আরিফ, আজাদ, মিজবাহ বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে  দিয়েছেন।

সম্প্রতি হাসির পক্ষ হতে বিভিন্ন মসজিদে হাত ধোয়ার সাবান,পথচারীদের মাঝে মাক্স বিতরন ও জনবহুল এলাকায় পানির ড্রাম ও সাবান দেওয়া হয়।

চট্রগ্রামের সেবামূলক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সৌদি প্রবাসী মোছলেহ উদ্দিন মুন্না’র কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনি রিয়াদ আল খারিজ প্রবাসে বসে  করোনা ভাইরাস এর কারনে   কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছেন -এটি করতে কোন সমস্যা হয় কিনা?  তিনি বলেন আমি ছোট বেলা থেকেই সামাজিক কাজ গুলি করার চেস্টা করতাম আর তারি ধারাবাহিকতায় চট্রগ্রামে হাসি  নামে একটি মানবসেবা মূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করি এবং সেই সংগঠনের মাধ্যমে আমি কাজ করে যাচ্ছি, আর এই কাজ গুলি করতে সাহস পাচ্ছি হাসির একঝাঁক প্রবীন,  নবীন উদ্যোগী ভাইদের আন্তরিক সহযোগিতার কারনে।

আপনি জানেন প্রবাসে কতটা শ্রম দিতে হয়, আমার শ্রম তখনি স্বার্থক হয় যখন দেখি  হাসি সংগঠন অন্যের মুখে হাসি ফুটাতে পারছে। যতদিন করোনা ভাইরাস এর কারনে চট্রগ্রামের আমার এলাকার মানুষ গুলি কর্মহীন থাকবে ততদিন হাসি সংগঠন এর মানবিক সাহায্য অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।  দোয়া করি আল্লাহ পাক সবাইকে হেফাজত করুন এবং সুস্থ ও নেক হায়াত দান করুন।

আবারও আলোকিত হবে মানুষের জীবন।  সবার প্রতি একটাই অনুরোধ করোনায় আতংকিত না হয়ে সচেতন হই, দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলি,  নিজে সাবধানে থাকি, অন্যকে সাবধানে থাকার জন্য বলি। নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে ভুলবেন না,  অযথা মাঠে, ঘাটে, হাটে, বাজারে বা জনসমাগম হয় এসব জায়গায় যাওয়া  থেকে বিরত থাকুন,  একে অন্যের কাছ থেকে ৩/৬ ফিট দুরে থাকি, মুখে মাক্স ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার করি। আল্লাহর ইবাদত করি।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • প্রবাস বাংলা এর আরও খবর
error: Content is protected !!