• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২০ মার্চ, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ২০ মার্চ, ২০২০

সাংবাদিক নির্যাতনকারী সেই আরডিসি নাজিমের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

কুড়িগ্রাম জেলার সাংবাদিক নির্যাতনকারী রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) কক্সবাজারের সাবেক এসিল্যন্ড বহু সমালোচিত মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে তদন্ত প্রতিবেদন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাহমদুল্লাহ মারুফ।

সূত্র মতে, কক্সবাজার সদর উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড থাকাকালে নাজিম উদ্দিনের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য, অসদাচরণ ও বেপরোয়া বিচরণসহ এক বৃদ্ধ কৃষককে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি দ্রুত তদন্ত শেষে রিপোর্ট প্রেরণ করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়। ওই নির্দেশে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাহদুল্লাহ মসরুফকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়।

পরে তদন্ত কমিটির প্রধান ইউএনওর নেতৃত্বে তদন্ত দলটি বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল শহরতলীর দরিয়ানগর পরিদর্শন করেন। সেখানে নির্যাতিত কৃষক নফু মাঝিসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের মৌখিক ও লিখিত সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ সময় ভাইরাল হওয়া কৃষক নির্যাতনের সেই ভিডিও ধারণকারী ও দৈনিক আজাদীর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি আহমদ গিয়াসও ঘটনার লিখিত সাক্ষ্য দেন। পাশাপাশি অন্যান্য সাক্ষীদের ও নির্যাতনের শিকার নফু মাঝির লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন।

নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধ কৃষক মোহাম্মদ আলী প্রকাশ নফু মাঝি জানান, ‘কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমদুল্লাহ মারুফের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল আমার কাছে আসেন। আমি পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছি। একটি তুচ্ছ ঘটনায় আমাকে জনসম্মুখে নির্যাতন করা হয়েছে। তার সবকটি প্রমাণ আমি দিয়েছি। একইভাবে নির্যাতনের সময় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদেরও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাহমদুল্লাহ মারুফ বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) ও কক্সবাজারের সাবেক এসিল্যন্ড মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তা আমি (ইউএনও) তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক বরাবরে জমা দিয়েছি। পরবর্তী পদক্ষেপ জেলা প্রশাসক গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে কুড়িগ্রাম জেলায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার পর পুনরায় নাজিম উদ্দিনকে নিয়ে কক্সবাজারে আবারো সমালোচনার ঝড় ওঠে। কারণ নাজিম উদ্দিন কক্সবাজার সদরে এসিল্যান্ড থাকাকালে সাধারণ মানুষকে অমানবিক নির্যাতন, খতিয়ানভুক্ত জমিকে খাস জমি বলে হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়, দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও অসদাচরণসহ বেপরোয়া বিচরণ নিয়ে সব সময় পত্রিকায় সংবাদের শিরোনাম হয়ে থাকত। পাশাপাশি সাংবাদিকদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করত।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ শুক্রবার মধ্যরাতে কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় নাজিম। তার বাসায় আধা বোতল মদ ও ১৫০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ আনা হয়। এরপর গভীর রাতে জেলা প্রশাসকের অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • সারা দেশ এর আরও খবর
error: Content is protected !!