• ঢাকা
  • শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ১৮ মার্চ, ২০২০

করোনার ওষুধ আবিষ্কার: ১৫ রোগীর ওপর পরীক্ষায় সবাই সম্পূর্ণ সুস্থ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের দুই চিকিৎসকের চালানো পরীক্ষায় লক ওষুধের মাধ্যমে করোনভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। আর এই ওষুধের পরীক্ষা করা হয়েছে করোনায় আক্রান্ত ১৫ জন গুরুতর রোগীর ওপর। আর এতে করে ওই আক্রান্ত ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে।

ওই ওষুধের পরীক্ষা প্রধমে এক মার্কিন নারীর ওপড়ে করার হয়। ওই নারীর শরীরে ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখে করোনা ধরা পড়ায় তার অবস্থা ছিলো খুবই গুরুতর তবে এই প্রতিষেধক ওষুধ প্রয়োগের পরে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে। আর এতে করে ওই প্রতিষেধক ওষুধ এখন করোনা রোগীদের আশা জাগাচ্ছে এবং এখন ওই ওষুধের ওপরে আরো বেশি করে গবেষণা করে বড় পরিসরে প্রতিষেধক হিসেবে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।

এই প্রতিষেধকের গবেষণা দলের গবেষক ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভিস মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জর্জ থম্পসন বিজ্ঞান ম্যাগাজিনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমরা ভেবেছিলাম যে নারীর ওপর এই প্রতিষেধক ওষুধের পরীক্ষা করছি তিনি হয়তো মারা যাবেন। তবে এই ওষুধ ‘আইভি’ বা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সরাসরি রক্তে প্রবেশ করানো হয়। এতে করে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। যদিও গোপনীয়তার কারণে ওই রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ানো হয়েছে কিনা তা প্রকাশ করেননি ডাক্তার থম্পসন, তবে তিনি জানিয়েছেন যে, রোগী ভাল আছেন।

এ বিষয়ে ফুসফুসের বিশেষজ্ঞ রিচার্ড চাইল্ডস শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন যে, ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজে থাকা ১৪ যাত্রী, যাদের শরীরে করোনভাইরাস ধরা পড়েছিল, তাদের উপরেও এই ‘রেমডেসিভির’ ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। তবে তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই অল্প সময়ের মধ্যেই মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু, এই ওষুধ প্রয়োগের দু’সপ্তাহ পরে দেখা গেল কেউ মারা যায় নি এবং তাদের অর্ধেকেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

এটা একেবারে আশ্চর্যজনক ঘটনা বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে ওষুধটির কারণে নির্দিষ্ট কিছু রোগীর লিভারে বিষক্রিয়া হতে পারে এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোও আরও কিছু পরীক্ষামূলক ওষুধ নিয়ে এগিয়ে আসছে যা বেশি কার্যকর হতে পারে। অন্যদিকে, ডাক্তার চাইল্ডস ‘রেমডেসিভির’ সম্পর্কে বলেন, ‘ড্রাগের কোন ক্ষতিকর প্রভাব আছে কী না, তা নির্ধারণ করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।

যাই হোক, মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটস-এর তথ্য অনুসারে, ‘রেমডেসিভির’ সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নির্ধারিত কিছু হাসপাতালে ভর্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্ক রোগীদের উপরে ‘নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিকাল ট্রায়াল’ শুরু করেছে ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা।

সূত্র : ডেইলি মেইল

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • আন্তর্জাতিক এর আরও খবর
error: Content is protected !!