• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

পদ্মা-মেঘনায় ১’শ কিলোমিটার এলকায় ২ মাস ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ:

ইলিশের পোনা জাটকাসহ সব ধরণের মাছ রক্ষায় চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার এলাকায় নদীতে অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে সরকার। আজ রোববার ১ মার্চ ১২টা ১ মিনিট (১ মার্চ) থেকে ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত দুই মাস পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সকল ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

অভয়াশ্রমের সময়ে জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা কোন ধরণের মাছ আহরণ, মওজুদ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে না। আইন আমান্য করলে মৎস্য আইনে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিধান রয়েছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যয় এবছরও মার্চ-এপ্রিল দুই মাস নদীতে মাছ আহরণ না করার জন্য জেলেদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। চাঁদপুর সদর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলার নদী উপকূলীয় এলাকায় মৎস্য আড়ৎ ও বাজার এলাকায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য বনিক সমবায় সমিতি লিমেটেড এর সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত নতুনেরকথাকে বলেন, অভয়াশ্রম এর সময় আমাদের প্রধান মৎস্য আড়ৎ চাঁদপুর মাছঘাট বন্ধ থাকবে। পদ্মা-মেঘনা নদীর কোন মাছ বিক্রি হবে না। তবে দুপুরে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা চাষের মাছগুলো বিক্রি হবে।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.এম. জহিরুল হায়াত নতুনেরকথাকে বলেন, আমাদের উপজেলায় টাস্কফোর্সের সদস্যরা শুক্রবার থেকে নদীতে অভিযান শুরু করেছে। রাত ও দিনে সিডিউল অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করবেন।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার রুমা নতুনেরকথাকে বলেন, আমাদের উপজেলায় নদীতে অভিযান কম হয়। ল্যান্ডে রোববার সকাল থেকে বাজারে-সড়কে অভিযান করা হবে।

হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান নতুনেরকথাকে বলেন, হাইমচর মেঘনা নদী এলাকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে বরিশালের হিজড়া, মেহেন্দিগঞ্জ, ভোলা, লক্ষ্মীপুর ও শরীয়তপুর জেলার জেলেরা এসে জাটকা নিধন করে। উপজেলা টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে আমরা খুবই আন্তরিক। দিন ও রাতে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি নতুনেরকথাকে বলেন, জাটকা ইলিশ রক্ষায় নদীতে উপজেলা ছাড়াও চাঁদপুর জেলা সদরে দিন রাতে ৪টি টীম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযন পরিচালনা করবে। এর মধ্যে দু’টি কোস্টগার্ডের সাথে আর দু’টি টীম থাকবে নৌপুলিশসহ। আর জেলা পুলিশ ল্যান্ডে বিভিন্ন স্থানে চেক পোস্ট বসাবে। সেখানেও মৎস্য অফিসার থাকবেন।

তিনি আরো বলেন, অভিযান সফল করার জন্য ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা হয়েছে। এছাড়াও নদী উপকূলীয় এলাকায় জনপ্রতিনিধি, জেলে নেতা ও জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নিয়ে আরো সচেতনতামূলক সভা হবে। জেলেদেরকে সচেতন করার জন্য মেঘ নদীর পাড়ে জেলে পল্লী, মৎস্য আড়ৎ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাইকিং করা হয়েছে এবং একই সাথে ব্যনার সাঁটানো হয়েছে।

আসাদুল বাকি বলেন, জেলেদেরকে এই দুই মাস মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪ মাস ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের চালের বরাদ্দ পৌঁছানো হয়েছে।

এই বিষয়ে জেলা টাস্কফোর্সের সভায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মাজেদুর রহমান খান নতুনেরকথাকে বলেন, জাটকা রক্ষায় এ বছর আমরা প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। টাস্কফোর্সের সকলকে সেইভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলার প্রায় ৫১ হাজার জেলে রয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে এসব নৌকাগুলো রেজিষ্ট্রেশন করে প্রযুক্তির আওতায় আনার জন্য। তাহলে সহজেই আমরা জেলেদের অস্থান সনাক্ত করতে পারবো।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • অর্থনীতি এর আরও খবর
error: Content is protected !!