ক্রীড়া ডেস্ক:
খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। বুধবার রাতে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন এ তারকা ক্রিকেটার। জমকালো আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেললেন তিনি। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, রাত ১০টায় অভিজাত খুলনা ক্লাবে দুই পরিবারের মিলন মেলার ভিড়ে সৌম্যর বাবা, বন্ধু অলিসহ বর যাত্রীদের ছয়টি মোবাইল চুরি হয়। এ নিয়ে শুরু হয় হট্টগোল। পরে দুই চোরকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে খুলনা ক্লাবের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা বরযাত্রীদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ করেন সৌম্য সরকারের মামা স্বদেশ কুমার সরকার।
তিনি বলেন, ভিড়ের মধ্যে গেট থেকে ঢোকার সময় দ্বীনবন্ধু মিত্রের মোবাইল চুরি হয়ে যায়। এরপর সৌম্যর বাবা, বন্ধু অলিসহ বর যাত্রীদের ছয়টি মোবাইল চুরি হয়। চোরদের হাতে নাতে ধরে ফেললে খুলনা ক্লাবের কর্মচারীরা আমাদের ওপর হামলা করেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনাটি খুলনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রথমেই আমলে নিলে বরযাত্রীতে এসে সৌম্যের স্বজনদের মার খেতে হতো না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মোবাইল চুরি হওয়ার পর হারানো মোবাইল নম্বরে কল দেন সৌম্যের স্বজনরা। তখন একজনের কাছে মোবাইল বেজে উঠে। তাকে আটক করে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গন্ডগোলোর সূত্রপাত হয়।
ঘটনার পর খুলনা ক্লাবে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি আসলাম বাহার বুলবুল সাংবাদিকদের বলেন, মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে খুলনা ক্লাবের স্টাফ ও বরযাত্রীর লোকদের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। সেখানে কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। তবে ভিড়ের মধ্যে কারো গায়ে একটু ধাক্কা লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দুই চোর থানায় আটক রয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।