• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি, ২০২০
সর্বশেষ আপডেট : ২৯ জানুয়ারি, ২০২০

হাজীগঞ্জে বিয়ে পাগল ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি:
হাজীগঞ্জে এক বিয়ে পাগল যুবকের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছে তার ১ম স্ত্রী। ফ্ল্যাক্সি লোডের দোকানে মোবাইল রিচার্জ করতে আসা স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় ইব্রাহীম নামের ২২ বছর বয়সী যুবক। বয়স মাত্র ২২ বছর, এরই মধ্যে একাধিক বিয়ে করেছে ইব্রাহিম। সে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের সিঁহিরচো গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে।
ইব্রাহিম পেশায় ফ্ল্যাক্সি লোডের দোকানদার। সিঁহিরচো খাল পাড় মজুমদার মার্কেটে তার মোবাইল রিচার্জের দোকান। সেখানে বসেই প্রেমের ফাঁদ পাতেন তিনি। লোডের দোকানটিও ১ম স্ত্রী মেহজাবিনের বাবার টাকায় গড়া।
তার বাবা আব্দুল আউয়াল স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। ছেলের অপকর্ম ঢাকতে সাফাই গাইছেন বাবা।
গত ১৪/০১/২০১৯ ইং তারিখে চাঁদপুর- মোকাম বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মেহেজাবিন ইসলাম জেহিন বাদী হয়ে ৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। এ মামলায় বিবাদী হচ্ছে তার স্বামী ইব্রাহিম, শ^শুর আব্দুল আওয়াল, সৎ শ^াশুড়ী সুর্বনা আক্তার, ইব্রাহিমের বড় ভাইয়ের স্ত্রী জান্নাত আক্তার।
মামলা সূত্রে জানায় যায়, ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ধড্ডা পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মেহেজাবিন ইসলাম জেহিনকে প্রেমের ফাঁদে পেলে বিয়ে করে ইব্রাহিম। তাদের ঘরে রয়েছে একটি কন্যা শিশু। এর মধ্যে বহু দেন-দরবার হয় দুই পরিবারের মাঝে। শ^শুর বাড়ির দাবীর প্রেক্ষিতে ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে দোকান নির্মান করে দেয় মেহেজাবিন ইসলাম জেহিনের বাবা। এর কিছুদিন পর আবারো চলে জেহিনের উপর নির্যাতন। ব্যবসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে ইব্রাহিম। টাকা দিতে নারাজ হওয়ায় অমানসিক নির্যাতন করে ইব্রাহিম ও তার পরিবার। বাধ্য হয়ে বাবার অজান্তে জেহিনের মামার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা ধার করে ইব্রাহিমের তুলে দেয়। ধার করা টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও তা পরিশোধ না করে উল্টো টাকার জন্য মারধর করে আরো টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তার বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে পেলে একাধিক বিয়ে করার অভিযোগ করেন তার স্ত্রী।
এরই মধ্যে গত ২৪/১১/২০১৯ইং তারিখে ধড্ডা পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী একই ইউনিয়নের মাড়কী গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে সামিয়া আক্তারকে প্রেমের ফাঁদে পেলে পালিয়ে বিয়ে করে ইব্রাহিম।
বাড়িতে এসেই মেহেজাবিনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ইব্রাহিম ও তা বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আউয়াল। এ বিষয়ে জেহিনে বাবা স্বামী ইব্রাহিম ও শ^শুর আব্দুল আউয়ালকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে দুই বৌকে রাখবে। যদি জেহিনের কোন সমস্যা হয় তাহলে সে চলে যেতে পারে। এ ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মানিক হোসেন প্রধানিয়া এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি অবহিত করেও কোন সূরাহা পায়নি জেহিন। পরে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করে জেহিনের পরিবার।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে জানা যায়, ইব্রাহিমের বাবা আব্দুল আউয়ালের বিরুদ্ধেও একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। বাপ-বেটা কোন কাজকর্ম করে না। ইব্রাহিম লোডের দোকানে বসে স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের টার্গেট করে। মোবাইল রিচার্জ করতে আসলে সে মোবাইল নাম্বারে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে পায়দা লুটে নেয়। তার ঘরে সৎ মা। তাদের বাপ-বেটার বিচার হওয়া উচিত। যেন কেউ এমন ঘটনা আর ঘটাতে পারে না। সে এরকম একাধিক অর্পকর্ম করে আসলেও কেউ প্রতিবাদ করতে আসে না। জেহিনের বাবার টাকায় দেওয়া দোকানটিও সে বিক্রয় করে দেয়।
ইব্রাহিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। জেহিন বলেন, আমার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী ইব্রাহিম কয়েকদিন পরপরই আমাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে। বাবার কাছ থেকে টাকা এনে দিলেই সে অন্য নারীদের পেছনে তা খরচ করে ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে আবারো টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে করার শুনেছি। কিছুদিন আগে পাশের গ্রামের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ওই মেয়েকে তার বাবার বাড়িতে দিয়ে আসে। আমাকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য নির্যাতন চালায়। আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা দায়ের করি।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • হাজীগঞ্জ এর আরও খবর
error: Content is protected !!