• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

ঝিনাইদহ কেসি কলেজ ছাত্র হোস্টেলের শৌচাগারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যন্ডে অবস্থিত ঝিনাইদহ সরকারী কেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবাসের শৌচাগারের ময়লা পানির দুগর্ন্ধে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে পুলিশ বক্সে বসে কোন ট্রাফিক ও পুলিশ সদস্য ডিউটি করতে পারছেন না। তাজা মলমূ্ত্র এবং ময়লা পানির বিশ্রী গন্ধে মানুষ নাকে রুমাল দিয়ে চলাফেরা করছে।

শনিবার দুপুরে সরেজমির পরিদর্শন করে দেখা গেছে কেসি কলেজের বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ছাত্রাবাসের চারিদিকে ময়লা পানিতে সয়লাব। বিশেষ করে ছাত্রাবাসের সামনের অংশে যে খানে পুলিশ বক্স অবস্থিত সেখানে প্রাচিরের পাশে ময়লা পানি জমে আছে। ছাত্রবাসের ট্যাংকি উপচে পানি রাস্তায় প্রবাহিত হচ্ছে। সব ট্যাংকিগুলো ভরে গেছে।

ছাত্ররাও দুগর্ন্ধে পড়ালেখা করতে পারছে না। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রবাসটি নির্মানের পর থেকে পানি নিস্কাষনের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে গোসলের পানি ও টয়লেটের পানিতে একাকার হয়ে যাচ্ছে। গত আষাড় মাস থেকেই ছাত্রাবাসের পানি একের পর এক বের হয়ে রাস্তায় আসলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ পৌরসভার দিকে তাকিয়ে আছে। অথচ কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্মানাধীন প্রতিষ্ঠান দিয়ে ড্রেনের কাজ করাতে পারতো।

তাছাড়া কলেজ ফান্ড থেকে তারা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে পারলেও তা না করে ট্যাংকি পরিস্তার করেই দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। ট্রাফিক সার্জেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা দুগর্ন্ধে ঠিকমতো পুলিশ বক্সে বসতে পারছি না। পুলিশ ভাইয়েরা ও পথচারিরা খুব কষ্টে আছেন।

পথচারি গোলাম রসুল বলেন, আমরা কেসি কলেজের হোস্টেলের পাশে যখন যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, তখন উৎকট গন্ধে বমি ঠেলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে কেসি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও হোস্টেল সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, এক মাস আগে আমরা ট্যাংকি পরিস্কার করেছি। স্থায়ী ড্রেন না থাকায় কোন সুরাহা হচ্ছে না। এ জন্য পানি সরছে না। তিনি বলেন ড্রেন করার জন্য পৌরসভাকে বলা হয়েছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • সারা দেশ এর আরও খবর
error: Content is protected !!