• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

ভাগ্য খুলছে গ্রাম পুলিশের

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

অনলাইন ডেস্ক:

সারা দেশের ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশকে সরকারি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদমর্যাদা দিয়ে জাতীয় বেতন স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

রিটকারি আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এই রিট মামলায় আগামী মঙ্গলবার আরও নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণ দেবেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়েস আল হারুনী।

২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ৪র্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের স্কেলের সমপরিমাণ বেতন কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

তার আগে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ির হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ লাল মিয়াসহ ৫৫ জন গ্রাম পুলিশ এ রিট দায়ের করেন। বর্তমানে প্রায় ৪৭ হাজার গ্রাম পুলিশের একজন দফাদার বেতন পান তিন হাজার চারশ’ এবং মহালদার পান তিন হাজার টাকা।

আইনজীবী হুমায়ন কবির বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এক দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশকে ৪র্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ায় তারা হাইকোর্টে রিট করেন।

রোববার রায়ের পর, গ্রাম পুলিশ বাহিনী রিট বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. উজ্জ্বল খান, সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল দেওয়ান সন্তোষ প্রকাশ করেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • সারা দেশ এর আরও খবর
error: Content is protected !!