• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০১৯

আ’লীগ ও যুবলীগে বাঁধায়
হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে ১ ও ২নং ওয়ার্ড আ’লীগের সম্মেলন স্থগিত
অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:
হাজীগঞ্জের হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন না করেই ফিরে এসেছেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক সদস্য ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় ২নং ওয়ার্ড ও বিকাল ৩টায় ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের এক পক্ষ এবং যুবলীগের নেতৃবৃন্দের হট্টগোল ও বাধা সৃষ্টির কারণে এ দুটি ওয়ার্ডে সম্মেলন না করেই ফিরে আসেন নেতৃবৃন্দ।
এ দিন তিনটি ওয়ার্ডের (১, ২ ও ৪নং ওয়ার্ড) সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা ছিল। সকালে ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ১ ও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের (সদস্য) তালিকায় বিএনপি-জামায়াতের লোকদের কাউন্সিলর করা এবং যুবলীগ নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগের সদস্য না করার অভিযোগ এনে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক পক্ষ এবং যুবলীগের নেতৃবৃন্দের হট্টগোলের করেন। এতেই সম্মেলন দুটি স্থগিত হয়ে যায়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, এ দিন সকালে ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠিত হয়। এতে কাউন্সিলদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি পদে মো. মিরন মিয়া ওরপে মিরন মেম্বার ও সাধারণ সম্পাদক পদে নেছার আহমেদ মিলন নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর দক্ষিণ পশ্চিম বেলঘর সরকারি বিদ্যালয় মাঠে ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানে যোগ দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক সদস্য ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
এ সময় ১ ও ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একপক্ষ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ, কাউন্সিলর (সদস্য) তালিকায় বিএনপি-জামায়াতের লোক এবং যুবলীগ নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগের সদস্য না করার অভিযোগ এনে হট্টগোল সৃষ্টি এবং সম্মেলন অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান করে। এতে সম্মেলন না করেই ফিরে যান সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক সদস্য ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ জানান, ১নং ওয়ার্ডে সভাপতি পদে উত্তম সরকার ও শাহদাত হোসেন মুন্সী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও আব্দুল হকসহ মোট ৬জন প্রার্থী ছিলেন। এবং ২নং ওয়ার্ডে সভাপতি পদে শহীদুল্লাহ্, মোস্তফা কামাল ও সগীর আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শফি উল্যাহ্, মিজানুর রহমান ও ফারুক আহমেদসহ মোট ৬ জন প্রার্থী ছিলেন।
২নং ওয়ার্ডের কয়েকজন প্রার্থী জানান, বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকরি কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সমন্বয়ে কাউন্সিলরের তালিকা করা হয়েছে। এবং এ তালিকা সবার সম্মতিক্রমে প্রস্তুত ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের অনুমোদনক্রমে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যদের হাতে দেয়া হয়। তারপর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ তালিকায় বিএনপি বা জামায়াতের কোন লোক নেই। তারা মিথ্যা অভিযোগ এনে সম্মেলনে বাধা সৃষ্টি করে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মিয়াজী বলেন, এ দুইটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের তালিকায় অন্য দলের লোক রয়েছে। এতে প্রকৃত আওয়ামী লীগ ও ত্যাগী নেতারা বাদ পড়েছেন।
ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক এ.এস.এম রাছেল মজুমদার বলেন, যুবলীগ নেতা-কর্মীদের অবহেলা করা হয়েছে। দু’একজনকে ছাড়া, বাকীদের সদস্য করার সুযোগ দেয়নি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ।
কাউন্সিলর স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল জানান, বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ, সম্ভাব্য প্রার্থী ও সিনিয়র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের তালিকা করা হয়েছে। এ তালিকায় অন্য দলের কেউ নেই। যদি কেউ প্রমান দিতে পারে, তাকে আমরা বাদ দিবো।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এতোদিন তারা অভিযোগ দেয়নি কেনো ? এখন (সোমবার দুপুর সাড়ে বারটা) ২নং ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তারা দলবল নিয়ে এসে হট্টগোল সৃষ্টি এবং সম্মেলনের বাধা প্রধান করে বলে, আগে কাউন্সিলরে তালিকা ঠিক (সংশোধন) করা হোক, তারপর সম্মেলন।
এ বিষয়ে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক সদস্য ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের পরামর্শক্রমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • রাজনীতি এর আরও খবর
error: Content is protected !!