• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০১৯

হাই স্ট্র্যাটেজিক কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে কাতারে এরদোগান

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তুর্কি-কাতার হাই স্ট্র্যাটেজিক কমিটির পঞ্চম বৈঠকে যোগ দিতে কাতার সফরে গেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। সোমবার সকালে দোহার উদ্দেশে আঙ্কারা ত্যাগ করেছেন তিনি।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদলু এজেন্সি জানিয়েছে, এ সফরে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি-র সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তার সম্মানে দেওয়া কাতারি আমিরের নৈশভোজেও অংশ নেবেন এরদোগান। এছাড়া কাতার-তুর্কি কম্বাইন্ড জয়েন্ট ফোর্স কমান্ডও পরিদর্শনের কথা রয়েছে তার।

আনুষ্ঠানিক এই সফরে কাতারের আমিরের সঙ্গে আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এ সফরে এরদোগানের সঙ্গে তার ক্যাবিনেটের পাঁচজন মন্ত্রী সফরসঙ্গী হয়েছেন।

যাদের মধ্যে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী বারাত আলবিরাক, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর, শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ওয়ানেক, বাণিজ্যমন্ত্রী রুহসার বেকগান, ক্রীড়া ও যুবমন্ত্রী মোহাম্মদ কাসাবোগলু, রাষ্ট্রপতির যোগাযোগ অফিসের প্রধান ফখরুদ্দিন আলতুন, এবং গোয়েন্দা প্রধান হাকান ফিদান।

এছাড়া তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ উকতাই, আঙ্কারার গভর্নর ওয়াসিব শাহিনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।

তুরস্কের সঙ্গে কাতারের পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই ভালো। ২০১৭ সালের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে তুর্কি সৈন্যদের বিভিন্ন বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কাতার।

২০১৭ সালের ৫ জুন সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত ও মিসরসহ কয়েকটি দেশ। এই সংকট শুরুর দুইদিন পর তুরস্কের পার্লামেন্ট কাতারে তাদের সামরিক ঘাঁটিতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়।

অবরোধ জারিকৃত দেশগুলোর ১৩ দাবির মধ্যে একটি ছিল কাতার থেকে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার করা। তবে সেই পথে হাঁটেনি কাতার।

২০১৫ সালের ১৮ জুন তারিক ইবন জিয়াদ সামরিক ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো অবস্থান নেয় তুর্কি সেনারা। এতে করে কাতারের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। সন্ত্রাস দমন করে এই অঞ্চলে শান্তিও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আশা ব্যক্ত করেন উভয় দেশের নেতারা।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • আন্তর্জাতিক এর আরও খবর
error: Content is protected !!