• ঢাকা
  • শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর, ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০১৯

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ ছিলেন ফ্রিডম পার্টির নেতৃস্থানীয় সদস্য দাবী মু্ুক্তিযোদ্ধাদের

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

স্টাফ রিপোর্টর॥

চাঁদপুরের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ ছিলেন ফ্রিডম পার্টির নেতৃস্থানীয় সদস্য এবং এক সময় জাতীয় পার্টিতে তিনি যোগদান করেছেন বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ নিয়ে শনিবার চাঁদপুর প্রেসক্লাবে এম এ ওয়াদুদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে বিতর্কিত ফ্রিডম পার্টি এর সাথে জড়িত থাকাসহ নানা অভিযোগ তোলা হয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ ওয়াদুদ এর বিরুদ্ধে। ‘সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধকালীন কমান্ডারবৃন্দ’ ব্যানারে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিতর্কিত কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। বিশেষ করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ, নিজের নামের আগে লেফটেন্যান্ট ব্যবহার নিয়ে প্রতিবাদ জানান মুক্তিযোদ্ধারা। তিনি ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন এবং পরবর্তীতে ফ্রিডম পার্টি যোগদান করেন। এ ছাড়া ২০১৭ সালের পর থেকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এর দায়িত্বে না থেকে নিয়মিত সংসদে যাওয়া ও কমান্ডার পরিচয়ে নানা ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় নিন্দা জানান মুক্তিযোদ্ধারা। একই সাথে তার ছোট ভাই মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ কুদ্দুছও ফ্রিডম ফাইটার এর সাথে জড়িত থাকা এবং নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধারা নিন্দা জানান।তারা এ ঘটনায় অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ এর বিতর্কিত কর্মকান্ড সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিযেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শহীদুল আলম রব। তিনি জানান, এসব ঘটনায় ১৯৭৪ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণের ঘটনায় মামলা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী, বীর বিক্রম, বিএলএফ কমান্ডার হানিফ পাটোয়ারী, মিঞা মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ চাঁদপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকসহ দুইশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!